শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দ্বৈত ভোটার চেষ্টা করেছে দুই লাখ সাত হাজার জন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

গত বছর দুই লাখ সাত হাজার ৬৩৫ ব্যক্তি দ্বৈত ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান তিনি। ডিজি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সার্ভারে অনেকের দুটি এনআইডি সচল থাকছে। ১২ বছর হয়ে গেল ইসির সার্ভারের বয়স। এত বছরেও কেন সার্ভারটি ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব হলো না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, ১১ কোটি লোকের সার্ভার এটা। আমরা গতবার যখন হালনাগাদ পরিচালনা করি, তখন কিন্তু আমরাই বের করেছি দুই লাখ সাত হাজার ৬৩৫ ব্যক্তি যারা দ্বৈত ভোটার হতে তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য চেষ্টা করেছিল। সুতরাং আমরা যে পারছি না, তা নয়। তবে একটি জিনিসকে ম্যাচুর্ড পর্যায়ে আসতে সময় ও রিসোর্স প্রয়োজন। তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছি। প্রকল্পে কর্মরতদের যদি অনিয়ম পাই, সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত হলে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হতো। কিন্তু কয়েকটা কেসে দেখা গেছে, তারা অনেক এক্সপার্ট।

তারা চাকরিচ্যুত হওয়ার পর বাইরে গিয়ে একটি চক্র তৈরি করছে। চক্রের মাধ্যমে তারা অনিয়ম-দুর্নীতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এনআইডি জালিয়াতি বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বা সহযোগিতা করে তাহলে শুধু চাকরিচ্যুত নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে। তারই অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের দুই ডাটা এন্ট্র্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো মামলা পরিচালনা করছি।

১২ অক্টোবর ইসি জানিয়েছে, অবৈধভাবে ভোটার করার প্রচেষ্টার অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা ও সদর উপজেলার দুজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের মাধ্যমে ভোটার করায় লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু এবং সদর থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় এনআইডি জালিয়াতি, আমি বলবো একটা পুরো সিস্টেম, যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের জালিয়াতি। এনআইডি পর্যন্ত আসার আগেই যে জালিয়াতি হচ্ছে, সেগুলোও তো রোধ করতে হবে। মূল শেকড় যদি উঠাতে না পারি, তাহলে কিন্তু জালিয়াতি ঠেকানো অত্যন্ত কঠিন। মূল শেকড়টা কারা সেটা তো আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন