বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও চলাচল করছে শত শত মানুষ, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তিস্তায় ফিটনেসবিহীন ইঞ্জিন চালিত নৌযান
ইনামুল হক মাজেদী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে

রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো থেকে চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ত্রুটিপূর্ণ শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌযান। ঠাসাঠাসি করে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ নৌযানে। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত এসব নৌযানের ফিটনেস ও পারাপারে নৌযান যাত্রী সংখ্যা উঠানোর ওপর কোনো নীতিমালা না থাকায় নৌযান মালিকরা ফিটনেসবিহীন এসব নৌযানে ঠাসাঠাসি করে যাত্রী তুলে তিস্তার বুকে চলাচল করছে। তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকা হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি তিস্তা নদী পর্যন্ত না পৌঁছানোয় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌযান মালিক হাজার হাজার যাত্রীকে জিম্মি করে তাদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করলেও দেখার কেউ নেই। গতকাল রবিবার সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, অধিক মুনাফার আশায় নৌযান মালিকরা ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনচালিত নৌযানে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ মালামাল নিয়ে তিস্তার বুকের ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে। মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই এসব ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনচালিত নৌযান তিস্তা নদীতে ডুবে গিয়ে সাধারণ জনমানুষের জান ও মালের সীমাহীন ক্ষতি সাধনের খবর মাঝে-মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। তিস্তার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীর নিজ নিজ শহরের সাথে যোগাযোগে এসব নৌযানই একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ তিস্তা পারাপার হচ্ছেন। তিস্তার বুকে ত্রুটিপূর্ণ ফিটনেসবিহীন শ্যালো ইঞ্জিন চালিত এসব নৌযানে তিস্তার পার্শ¦বর্তী চরাঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী পারাপার করা হচ্ছে। এভাবেই বছরের পর বছর লাখ লাখ যাত্রী তিস্তার বুকে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল ও সব ধরনের মালামাল পরিবহন করছেন। নৌযান মালিকদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপরই চরাঞ্চলের সব যাত্রীকে নির্ভর করে তিস্তা নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে। ফলে তারা এসব ত্রুটিপূর্ণ নৌযান মালিকদের কাছে পুরোপুরি জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, তিস্তা নদীতে নি¤œমানের নৌযানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঠাসাঠাসি করে নিয়মিত চলাচল করছেন। বেশি ভাড়া আয়ের লক্ষ্যে এসব নৌযানে ঠাসাঠাসি করে মাত্রাতিরিক্তভাবে যাত্রী ও মালামাল তোলা হচ্ছে। এসব ত্রুটিপূর্ণ নৌযান তৈরি করা হচ্ছে নি¤œমানের কাঠ ও বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে। এ ছাড়া এসব নৌযান তৈরিতে বিশেষজ্ঞদের তৈরি নকশার বা অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের তৈরি নকশা দিয়েই ত্রুটিপূর্ণভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যে কোনো সময় অনাকাক্সিক্ষত নৌ দুর্ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে প্রতিটি নৌযানে ১০০ থেকে ১২০ জন যাত্রী যা কিনা ধারণ ক্ষমতার প্রায় তিনগুণ না হওয়া পর্যন্ত নৌযান মালিকরা ঘাট ছাড়ছে না। এ ব্যাপারে নৌযান মালিকরা জানান, যাত্রীরা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে ঠাসাঠাসি করে নৌকায় চরে বসে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন