বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সøুইস গেটের খাল দখল করায় পানিবদ্ধতা, দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে স্লুইস গেটের খাল অবৈধ দখল নিয়ে পয়ঃনিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করায় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। কাদাকাটি ইউনিয়নসহ পার্শ¦বর্তী দরগাহপুর ও কুল্যা ইউনিয়নের হাজার হাজার ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাজার হাজার একর আবাদি ফসলি জমি ও মৎস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে মোকামখালী, সৈয়দপুর খাল ও হলপোতা খাল। খালের স্লুইস গেটের মুখে ও খালের পাশে অবৈধ দখল ও মাটির বাঁধ বা নেটপাটা দিয়ে বিশেষ একটি মহল মাছ চাষ ও মাছ ধরার কাজ করে যাচ্ছে। ফলে খাল সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। পলি জমে খালের নাব্য হ্রাস পাওয়ায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ দখলকারীরা খালের পাশের জমি বাঁধতে বাঁধতে জমিতে পরিণত করেছে কিংবা মাছ চাষের ঘেরে পরিণত করেছে। হলদেপোতা কালভার্টের মুখে এবং উভয় পাশে একাধিক স্থানে নেটপাটা ও জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে। ফলে বৃহৎ খালের পানির ¯্রােত বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলা এলাকার পানি এই এলাকায় আসতে শুরু করায় কাদাকাটি ও কুল্যা ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। এতে কৃষকরা অজানা আতঙ্কে ভুগছে। চলতি আমন মৌসুমে ধান চাষ করতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয়গ্রস্ত কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িও জলমগ্ন হয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার উপক্রম হতে চলেছে। অপরদিকে মোকামখালী স্লুইস গেটের বাইরের পাট না থাকায় জোয়ারের পানি কমবেশী ভিতরে উঠছে। ফলে বৃষ্টির পানির পাশাপাশি নদীর পানিতে এলাকা সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বিশেষ একটি মহল স্লুইস গেট দখলে নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে পাউবো কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন