শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

১১ জনকে কান ধরে উঠবস করাল পুলিশ

প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বৈঠক

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

কক্সবাজারের পেকুয়ায় টইটং ইউনিয়নের হাজী বাজারে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ১১ জনকে কান ধরে উঠবস করায় পুলিশ। ওই ঘটনায় পেকুয়া থানার বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই তৌহিদুল ইসলাম পাটোয়ারীসহ জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাজারের ব্যবসায়ী, দোকান মালিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে টইটং হাজীবাজারে জরুরি বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠক থেকে ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওই কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার হাজী বাজারে ১১ জন ব্যক্তিকে পুলিশ চরম হেনস্থা করে। ওইদিন হাজী বাজার নুরুন্নবীর চায়ের দোকানে বসে টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলেন। হঠাৎ পেকুয়া থানার এএসআই তৌহিদুল ইসলাম পাটোয়ারীসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই দোকানে যায়। উপস্থিত লোকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে খেলা দেখার কথা বলেন। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা দোকানের গ্রিল আটকিয়ে দেয়। সকল দর্শককে রাস্তায় নিয়ে আসেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা নির্দেশ দেন সকলকে কান ধরে উঠবস করার জন্য। দর্শকদের মধ্যে টইটং ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া প্রতিবাদ জানান।

এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা যুবলীগ নেতা বাচ্চু মিয়াকে ও রাজনৈতিক দল নিয়ে ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এক পর্যায়ে বেত হাতে নিয়ে শারীরিক মারধরের চেষ্টা করেন। এ সময় তারা বাধ্য হয়ে কান ধরে উঠবসা দেয়। হাজী বাজার মার্কেটের মালিক শ্রাবণ তালুকদার মানিক জানান, এ ধরনের আচরণে বিস্মিত হয়েছে। একজন বয়স্ক ব্যক্তি বাচ্চু ভাই। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে কান ধরে উঠবসার নির্দেশ দেয় কিভাবে। এখানে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু ভাই ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী ও জাতীয় শ্রমিকলীগ টইটংয়ের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনও ছিলেন।

বাজার বণিক সমিতির নেতা নবাব মিয়া ও আবদুল খালেক বলেন, এটি পুলিশের নিকৃষ্ট আচরণ। নজরুল মাষ্টার পুলিশ কন্টাক করে এ আচরণটি করিয়েছে। উর্ধতন মহলে যাব। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে কর্মসূচির দিকে যাব।

হেনস্থার শিকার ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারি ও বাজারের দোকান মালিক বাচ্চু মিয়া জানান, সেক্রেটারি পরিচয় দিয়েছিলাম। শ্রমিকলীগ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিএনজি শ্রমিক সংগঠন নেতা জয়নাল আবেদীন জানান, এটি পরিকল্পিত ঘটনা। নজরুল মাষ্টার সেখানে ছিলেন। পুলিশের আচরণ দেখে মনে হয়েছে আসলে তারা মাস্তান। মাছ ব্যবসায়ী নুরুন্নবী জানান, আমরা ব্যবসা করি। রাত দিন বাজারে থাকি। মাত্র রাত ১০টা হয়েছে। আসলে এটি তদন্ত হতে হবে। কেন আমাদের উপর এ আচরণ।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এএসআই তৌহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে এদেরকে বাড়িতে চলে যেতে বলেছি। এত রাত দোকান কেন খোলা থাকবে। এমন প্রশ্ন করেছিলাম। দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন