মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপ সম্পাদকীয়

কুলদ্বীপ নায়ার-র‌্যাডক্লিফ বৈঠক : ভারত বিভক্তির অনেক অজানা কথা

প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান
কুলদ্বীপ নায়ার ভারতের সম্ভবত সবচেয়ে প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট। বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পর ভারতের ‘সাপ্তাহিক হিম্মত’ পত্রিকায় আমি সর্বপ্রথম তার একটি লেখা পড়ি। এটি ছিল তার লেখার অনুবাদ। লেখাটি ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির একটি স্পর্শকাতর দিক নিয়ে। এখন লেখাটি হারিয়ে ফেলেছি। যদি লেখাটি আমার হাতে থাকত অর্থাৎ ডকুমেন্টটি যদি আমার হাতে থাকত তাহলে ওই লেখার বিষয়বস্তু এবং তাতে বিধৃত তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করতাম। আমি অসংখ্য লেখা লিখেছি। লেখার মধ্যে কোনো ঘটনা বা কোনো বিষয়ের রেফারেন্স দিতে গেলে আমি হাতে সব সময় ডকুমেন্ট রাখি। কারণ কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে তাহলে আমি যেন তার যথাযোগ্য জবাব দিতে পারি। যেসব ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট আমার হাতে থাকে না সেসব প্রসঙ্গ আমার লেখায় আনি না। কুলদ্বীপ নায়ার একজন সিন্ডিকেটেড কলামিস্ট। এই নবতিপর বৃদ্ধের রয়েছে অসাধারণ স্মরণ শক্তি। ১৯৭২ সালের দিকে সর্বপ্রথম তার লেখা পড়লেও তার লেখার প্রতি সব সময় আমার ছিল একটি ইনফ্যাচুয়েশন। ১৯৯০ সাল থেকে তার লেখার কাটিং আমি সংরক্ষণ করে আসছি।
গত ১১ আগস্ট তার একটি লেখা ছাপা হয়েছে ‘ডেইলি স্টারে’। লেখাটির শিরোনাম, “The Partition”. বলা বাহুল্য, ভারত বিভক্তির ওপর তিনি লিখেছেন। ভারত বিভক্তির ওপর তো পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে বিগত ৭০ বছর ধরে অনেক লেখাই হচ্ছে এবং টেলিভিশনেও এটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সেই একই বিষয়ের ওপর আমি কেন আবার লিখতে যাচ্ছি?
কুলদ্বীপ নায়ারের লেখার যে দিকটি আমার ভালো লাগে সেটি হলো, তার লেখাগুলো উপসম্পাদকীয় অথবা কলাম হলেও সেই লেখার ফাঁকে ফাঁকে কিছু তথ্য ঢুকানো থাকে। ফলে তার লেখা একদিকে যেমন ভারি হয়, অন্যদিকে তেমনি সেটি হয় তথ্যসমৃদ্ধ। দি পার্টিশন নামক লেখাতেও তিনি অনেক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেছেন যেগুলো ইতোপূর্বে অনেকের জানা ছিল না।
অনেক দিন আগে তার লন্ডন সফরের সময় কুলদ্বীপ নায়ার স্যার সিরিল র‌্যাডক্লিফের সাথে দেখা করেন। সেই দেখা-সাক্ষাতের সময় যে দু-চারটি কথা র‌্যাডক্লিফ বলেন সেগুলোর অংশবিশেষ তিনি আলোচ্য কলামে বর্ণনা করেছেন। কুলদ্বীপ নায়ারের লেখার আরেকটি দিক আমার ভালো লাগে। সেটি হলো, জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। সুতরাং ভারতের প্রতি তার টান থাকবেই। তাই উপমহাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে তিনি ভারতের পক্ষে কথা বলেন। এতে তার কোনো দোষ ধরা যায় না। বরং বলা যায় যে, তিনি একজন খাঁটি ভারতীয় দেশপ্রেমিক। তারপরেও দেখা যায় যে, বড় বড় নেতা সম্পর্কে তিনি শ্রদ্ধার সাথে কথা বলেন।
আমাদের দেশে এমন একটি প্রবণতা রয়েছে যেটি আমার কাছে ভালো লাগে না এবং শিষ্টাচারবহির্ভূত মনে হয়। মি. গান্ধীকে আমাদের দেশের একশ্রেণির লেখক ও রাজনৈতিক নেতা মহাত্মা গান্ধী বলেন। ভালো কথা। কিন্তু পাকিস্তানের জনককে তারা শুধু জিন্নাহ বলে সম্মোধন করেন। কিন্তু কুলদ্বীপ নায়ারের ক্ষেত্রে দেখলাম তিনি একদিকে মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী বলেই শেষ করেন না, তাকে বলেন মহাত্মা গান্ধী। তেমনি পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকেও কায়েদে আজম জিন্নাহ বলে সম্মোধন করেন।
॥ দুই ॥
কুলদ্বীপ নায়ার শুরু করেছেন এভাবে, বৃটিশরা যখন ভারত ছেড়ে যায় তখন তারা ভারতকে একটি মেস বানিয়ে যায়। এটি তারা শুধুমাত্র ভারতের ক্ষেত্রেই করেনি। তারা ফিলিস্তিন, আয়ারল্যান্ড, ইসরাইল এবং ভারতের ক্ষেত্রে করেছে। সবাই জানেন, স্যার সিরিল র‌্যাডক্লিফ ভারত বিভক্তির রেখা টেনেছিলেন। মি. র‌্যাডক্লিফকে নির্বাচন করেছিলেন ভারতের শেষ বড়লাট লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন। তখন র‌্যাডক্লিফ ছিলেন বৃটিশ বারের একজন উকিল। ভারত সম্পর্কে তার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। তিনি ভারতে কোনো দিন আসেননি। তেমন একজন ব্যক্তিকে মাউন্ট ব্যাটেন যখন ভারত বিভক্তির গুরুদায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন তখন র‌্যাডক্লিফ প্রথমে সেই প্রস্তাব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। কারণ তিনি জানতেন, এ কাজটি করতে গিয়ে তিনি সমগ্র ভারতবাসীর প্রতি সুবিচার করতে পারবেন না। তখন মি. মাউন্ট ব্যাটেন এই কাজের পারিশ্রমিক বাবদ তাকে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেই সময় অর্থাৎ আজ থেকে ৭০ বছর আগে ৪০ হাজার টাকা একটি বড় অংক ছিল। তবে র‌্যাডক্লিফ এ কাজ করতে রাজি হন টাকার লোভে নয়। বরং পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ দেশ ভারতীয় উপমহাদেশকে তিনি দুটি ভাগে বিভক্ত করছেন তেমন একটি সম্মানজনক কাজের আকর্ষণে। তাকে বলা হয়েছিল, এই কাজটি করে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। ইতিহাসে তার নাম রয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু সেই নাম অঙ্কিত হয়েছে একজন কুখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে।
র‌্যাডক্লিফ ভারতে এসে দাবি করেন যে, তাকে ভারতের এমন একটি মানচিত্র দেওয়া হোক যেখানে এই বিশাল দেশটির প্রতিটি জেলার মানচিত্র থাকে। কিন্তু সেই ধরনের কোনো মানচিত্র আদতেই বৃটিশরা তৈরি করেননি। তাই শুরুতেই তিনি যা চেয়েছিলেন সেটি থেকে তিনি বঞ্চিত হন। প্রথম কয়েক দিন ইন্ডিয়া সম্পর্কে স্ট্যাডি করে সেই দেশটিকে কিসের ভিত্তিতে ভাগ করা হবে সে সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা জন্মে তার মনে। সেই ধারণার বশবর্তী হয়ে তিনি লাহোর শহরকে ভারতের ভাগে বরাদ্দ করেন। তখনো ভারত বিভক্তির রেখা তিনি চূড়ান্ত করেননি। কিছু দিন পর তার মনে হয় যে, তিনি পাকিস্তানকে দারুণভাবে বঞ্চিত করছেন। কারণ লাহোরও যদি ভারতকে দেওয়া হয় তাহলে পাকিস্তানের ভাগে কোনো উল্লেখযোগ্য শহর তো পড়ল না। এসব চিন্তাভাবনা করে তিনি লাহোর পাকিস্তানের ভাগে বরাদ্দ করেন। এর ফল হলো এই যে, পশ্চিম পাঞ্জাবের মানুষরা খুশি হলেন। কিন্তু পূর্ব পাঞ্জাবের মানুষরা লাহোর হারানোর জন্য তাকে কোনো দিন ক্ষমা করতে পারেননি। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পূর্ব পাঞ্জাব ভারতের ভাগে বরাদ্দ হয়।
তাকে পারিশ্রমিক বাবদ যে ৪০ হাজার টাকা অফার করা হয়েছিল সেই টাকা তিনি কোনো দিন গ্রহণ করেননি। কারণ ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টির পর এক দেশ থেকে আরেক দেশের মাইগ্রেশনের প্রক্রিয়ায় যে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যান সেই রক্তের ঋণ তার ওপরই পড়ে। ভারত বিভক্তির পর সেই যে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে যান তারপর আর একবারের জন্যও ভারতে ফিরে আসেননি। তিনি লন্ডনেই মারা যান। তার মৃত্যুর খবরও প্রথমে ভারতবাসী জানতে পারেনি। এ খবরটি প্রথমে লন্ডনের একটি পত্রিকায় ছাপা হয়। সেখান থেকে খবরটি সংগ্রহ করে ভারতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, তার হাত দিয়েই দুটি দেশের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই সৃষ্টির জন্য তিনি কোনো স্বীকৃতি পাননি। র‌্যাডক্লিফ ভারতের বুকে যে ছুরি চালিয়েছিলেন তারপর ভারতীয় এবং পাকিস্তানি কোনো জাতিই তার ওপর খুশি হতে পারেনি।
॥ তিন ॥
ঘটনা দ্রুতগতিতে এগোচ্ছিল। এমন দ্রুতগতিতে এবং এমনভাবে এগোচ্ছিল যে, ভারত বিভক্তি রোধ করার কোনো পথ দৃশ্যমান হচ্ছিল না। তখন মি. মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী শেষ অস্ত্র হিসেবে একটি প্রস্তাব দেন। তিনি নেহরু এবং প্যাটেলের কাছে প্রস্তাব দেন যে, যদি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে অখ- ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয় তাহলে হয়তো ভারত বিভক্তি রোধ করা যেতে পারে। এই প্রস্তাব শুনে উভয় নেতাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। কারণ স্বাধীন ভারতের এই শীর্ষ পদটির ওপর তাদের দুজনেরই দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল। কুলদ্বীপ নায়ার মন্তব্য করেছেন যে যদিও এই দুই নেতাই স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক অবদান রেখেছেন তৎসত্ত্বেও এই দুই নেতার কেউই এই পদ লাভের লোভ-লালসা থেকে ঊর্ধ্বে ছিলেন না।
কুলদ্বীপ নায়ারের মতে, ১৯৪৭ সালের ৩ জুন পার্টিশন প্ল্যান মি. গান্ধী কখনই সমর্থন করেননি। এই প্ল্যান সম্পর্কে আলোচনার জন্য মাউন্ট ব্যাটেন গান্ধীকে ডাকেন। আলোচনার একপর্যায়ে মাউন্ট ব্যাটেন পার্টিশন শব্দটি উচ্চারণ করার সাথে সাথেই মি. গান্ধী কক্ষ ত্যাগ করেন। কারণ তিনি ওই শব্দটি শুনতে চাননি। কিন্তু প্যাটেল এবং নেহরু প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। কুলদ্বীপ নায়ারের মতে, ওই দুজন নেতা মনে করেন যে, তারা বেশি দিন বাঁচবেন না। তাই যে ক’দিন বাঁচেন, সেই ক’দিন দেশটিকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে চান।
মি. জিন্নাহর বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জিন্নাহ যে পাকিস্তান পেলেন সেই পাকিস্তানে তিনি মোটেই সন্তুষ্ট হননি। তাই তিনি বলেন, তিনি যা পেলেন সেটি ছিল ‘পোকায় খাওয়া পাকিস্তান’। কারণ যে পাকিস্তানের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তার সেই স্বপ্নের পাকিস্তানের একদিকে থাকবে পেশাওয়ার আর অন্যদিকে থাকবে দিল্লি। তিনি এতই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে যখন তাকে বলা হলো যে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সংযোগ রক্ষা করা যায় কিনা, তখন জিন্নাহ সরাসরি বলে ফেলেন, আমি ওদেরকে অর্থাৎ ইন্ডিয়ানদেরকে বিশ্বাস করি না। শুধু তাই নয়, বৃটিশরা চেয়েছিল যে মাউন্ট ব্যাটেনকে নব গঠিত ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেরই গভর্নর জেনারেল করা হোক। ভারত এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে মাউন্ট ব্যাটেনকে তাদের প্রথম গভর্নর জেনারেল বানায়। কিন্তু মি. জিন্নাহ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। কুলদ্বীপ নায়ারের মতে, আজও অনেক ভারতীয় মনে করেন যে, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে যদি অখ- ভারতের প্রধানমন্ত্রী বানানো হতো তাহলে তিনি হতেন একজন যোগ্য প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতও এক ও অখ- থাকত। তখন পর্যন্ত কেউ জানত না যে, তার ফুসফুসের ভিতরে বাসা বেঁধেছে ঘাতক ক্যান্সার। অনেকেই বলেন যে, বৃটিশরা ভারতের স্বাধীনতা আরো ১ বছর পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। তাদের হিসেবটি ছিল এই যে, এই এক বছরের মধ্যে জিন্নাহ ক্যান্সারে মারা যাবেন এবং তারাও ভারতকে অখ- রাখতে পারবেন। তাদের মতে, জিন্নাহ মারা গেলে পাকিস্তানের উন্মাদনাও ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসবে।
কুলদ্বীপ নায়ার আরেকটি অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইংল্যান্ডের মহাযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল জিন্নাহর কাছে ওয়াদা করেছিলেন যে, পাকিস্তান যাতে কায়েম হয় সেটা তিনি দেখবেন। কারণ, মি. নায়ারের মতে, মি. চার্চিল মনেপ্রাণে হিন্দুদেরকে ঘৃণা (Pathological Hatred) করতেন। তিনি বলে বেড়াতেন যে, হিন্দুদের এই বহুভাষিক জটিল ধর্ম (Polyglot Religion) তিনি বুঝতে পারেন না। সেই তুলনায় চার্চিলের মতে, ইসলাম ধর্মটি অত্যন্ত সহজ সরল এবং সহজেই বোঝা যায়। আবার অনেকের মতে কৌশলগত কারণেও চার্চিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করতেন। কারণ ভৌগোলিকভাবে পাকিস্তান এমন একটি স্থানে অবস্থিত যেটি একদিকে তেলসমৃদ্ধ মুসলিম জাহানের প্রবেশপথ এবং অন্যদিকে বিশাল সোভিয়েত ইউনিয়নেরও সিংহ দুয়ার। সুতরাং পাকিস্তান তাদের কাছে অত্যন্ত কাক্সিক্ষত ছিল।
কুলদ্বীপ নায়ার শেষ করেছেন এভাবে। বহু বছর পর আমি লন্ডনে গিয়ে র‌্যাডক্লিফের সাথে দেখা করি। তিনি ব্লাড স্ট্রিটের মতো একটি অভিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। আমি তাই আশা করেছিলাম যে, তিনি পরিবেষ্টিত থাকবেন কিছু আইনজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে। কিন্তু আমি হতভম্ব হই যখন দেখি যে মি. র‌্যাডক্লিফ নিজে এসে দরজা খোলেন এবং আমাকে চা পানে আপ্যায়ন করার জন্য নিজেই কেতলিতে পানি গরম করতে দেন। তিনি তার দায়িত্ব এবং ভারত বিভক্তি সম্পর্কে আলোচনা করতে অনিচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু যেহেতু আমি তার মুখোমুখি হয়েছিলাম তাই কিছু কিছু প্রশ্নের জবাব তাকে দিতেই হয়েছে। তবে তার সমগ্র মুখম-লে ছিল বিষণœতা এবং অনুতাপের ছাপ। আমার মনে হলো, তিনি সেই ব্যক্তি যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর জন্য আজও তার বিবেকের দংশন অনুভব করছেন।
Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আজিজ ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ১:১০ পিএম says : 0
আমি র‌্যাডক্লিফের তেন কোন দোষ দেখছি না। তবে তিনি যদি আরো সময় নিয়ে পার্টিশন করতেন তাহলে হয়তো এমনটা হতো না।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন