শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

থামছে না কুমারের ভাঙন

আতঙ্কে দিন কাটছে ১২ গ্রামের মানুষ

আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কুমার নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পারের বসবাসকারী ১২ গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি শাখারপাড় এলাকার রাস্তাটি ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। ওই এলকা লুৎফর হাওলাদার, ছানোয়ার মল্লিক, শাহ আলম মল্লিক ইশিবপুর এলাকার জাহেদা বেগম, বিকাশ রায়, সিরাজ মল্লিক এবং বদরপাশা গ্রামের রেজাউল ফকিরের বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। টেকেরহাট-কালিবাড়ী ফিডার সড়কের গোয়ালবাথান এলাকার পাকা রাস্তাটির কিছু অংশ গত কয়েকদিন আগে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
নদী পারের বাসিন্দারা জানায়, নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে কিছুসংখ্যক পরিবার অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। এক শ্রেণির স্বার্থন্বেষী মহল প্রাশসনকে ম্যানেজ করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা। জমি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে ভ‚মিহীনে পরিণত হচ্ছে অনেকেই। কালিবাড়ী এলাকার ডা. আবুল কালাম জানান, বিশ্বাম্বরদী, নিলাম্বরদী, মহেন্দ্রদী, হরিদাসদী, মলি¬ককান্দি, গাংকান্দি, শংকরদী, কালিবাড়ী, হরিদাসদী ও চরমস্তফাপুর বাজার এলাকা ব্যাপকভাবে ভাঙছে। বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।
হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বর জানান, টেকেরহাট-হরিদাসদী রাস্তার গোয়ালবাথান এলাকাটি ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যাপারে মাসিক সমন্বয় সভায় বারবার আলোচনা হলেও কোনো ফল হয়নি।
এ ব্যাপারে ইশিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফায়েজুর রহমান হিরু বলেন, নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। রাজৈর ইউএনও সোহানা নাসরিন বলেন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন