কৃষি প্রধান বাংলাদেশে নানা চাষাবাদের মধ্যে পান চাষ অন্যতম। কারণ একবার পান চাষ শুরু করলে তার সুফল পাওয়া যায় বছরের পর বছর ধরে। শুধু মাত্র পরিচর্যা মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদিত ফসলের মূল্য পাওয়া যায়। সাধারণত পাহাড়ের পাদ দেশে কিংবা একটু উঁচু টিলা জায়গায় পান চাষ করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি মীরসরাইয়ে পান হয়ে থাকে ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নে। পানক্ষেতে বর্তমানে মড়ক দেখা দিয়েছে। মড়ক লাগায় পানের উৎপাদন যেমনি কম হচ্ছে তেমনি সঠিক দামের সুফল পাচ্ছেন না পানচাষিরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পান চাষ হয়ে থাকে। ২ হেক্টর বা ১৫ বিঘা জমিতে ২৫ জন চাষি এই পান চাষ করে থাকেন। এতে ২৫ মেক্ট্রিকটন পান উৎপাদন হয়ে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদী নগর গ্রামের ভোলা কুমার দে পানের বরজে পানক্ষেতে পানের পাতা ও কান্ডে পচন দেখা দিয়েছে। এছাড়া গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে মড়ক দেখা দেয়ায় এবার লোকসানের আশঙ্কাও করছেন তিনি। পানের পাতায় কালো ও হলুদ বর্ণে পান বিবর্ণ হয়ে গেছে। ভোলা কুমার দে প্রায় ২৮ শতক জমিতে দুই বছর আগে পান চাষ শুরু করেন। এতে তার মোট খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। সম্প্রতি তার বরজে নানা ধরনের রোগ দেখা দিলে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তিনি বারইয়ারহাট বাজারের ডিলার অহিদ অ্যান্ড ব্রাদার্স ও আবুল হোসেন অ্যান্ড সন্স এই দুই দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির নানা ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা পরও পান রোগ মুক্ত হয়নি। তিনি জানান, কৃষি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা আজ পর্যন্ত দেখা পাননি। পরামর্শের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থাকলেও তারা এই পর্যন্ত আসেনি। ফলে পানের বরজ নিয়ে আমি দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।
পানচাষি সমর দে ও সংকর দে জানান, নানা প্রতিক‚লতার এ বছর পান চাষ করেছি। যেমন অতি বৃষ্টি, বাঁশের দাম ও শ্রমিকের মজুরী বেশি হওয়া সত্বেও পান চাষ করেছি। অপরদিকে পানের দাম কম হওয়ায় এই বছর ক্ষতির সম্মুখিন হবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, পানক্ষেতে পানের লতা ও গোড়া পচা রোগ সাধারণত হয়ে থাকে। এই রোগগুলো থেকে প্রতিরোধ করার জন্য ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ওষুধ ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন