চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ব্যস্ততম সড়কগুলোর ওপর ও নিচ দিয়ে অবৈধ ড্রেজার সংযোগ স্থাপন করে হরদম বালু ভরাটের ব্যবসা চলছে। তবে গুটিয়েক ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সুবিধা হলেও ক্ষতি হচ্ছে সরকারি খরচে শত কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি সড়কের।
উপজেলার চারপাশ ঘিরে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর অবস্থান হওয়ায় সহজেই ফাঁকা জমি ভরাট করার সুযোগটিকে কাজে লাগান ড্রেজার মালিকেরা। স্বল্প খরচে নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার সংযোগের মাধ্যমে জমি ভরাটের এমন প্রলোভন লুফে নেন ক্রেতারাও।
উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রিত বাঁধ ঘুরে দেখা যায়, শ্রী রায়েরচর সেতু থেকে মতলব সেতু সড়কের দুর্গাপুর, ভাটি রসুলপুর, টরকী লঞ্চঘাট, এনায়েতনগর, সম্বুখা ব্রিজ, এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর নির্মিত সড়কের নিচ দিয়ে স্থায়ী ড্রেজার সংযোগ স্থাপনের পাইপ লাইন তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়াও মতলব সেতু থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে গাজিপুর, চরমাছুয়া,আমিরাবাধ, ফরাজিকান্দি এলাকায় বেরিবাধের ওপর দিয়ে নেয়া হয়েছে ড্রেজার সংযোগ। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের ভেতর সড়কে ব্যাঙের ছাঁতার মত ছড়িয়ে আছে ড্রেজার সংযোগ।
উপজেলার ঠেটালিয়া এলাকার মতলব-ছেঙ্গারচর সড়কের ওপর দিয়ে ড্রেজার সংযোগ স্থাপন করা ড্রেজার মালিক হিমেলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তাকে ড্রেজার সংযোগ স্থাপনের অনুমতি কেউ প্রদান করেননি। নিজের ব্যাক্তিগত প্রভাবেই তিনি অবৈধ সংযোগ স্থাপন করেছেন।
সরকারি সড়কের ক্ষতি করে এমন অবৈধ ড্রেজার স্থাপনের কোন বৈধতা নেই স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহা শীষ দাশ বলেন, এসব অবৈধ ড্রেজার সংযোগ উচ্ছেদ ও পর্যায়ক্রমে সকল সংযোগের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন