নড়াইল জেলা সংবাদদাতা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পার মল্লিকপুর গ্রামে দুলাল বাহিনীর ত্রাসে এবার গ্রামের মাতবর খুন হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নুর ইসলাম (৪২) নামের গ্রামের মাতবর খুন হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় মহিলাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলিবর্ষণ করে। আহতদের লোহাগড়া, নড়াইল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত নুর ইসলাম পার মল্লিকপুর গ্রামের মৃত মোকসেদ মৃধার ছেলে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পার মল্লিকপুর গ্রামের আধিপত্য সাবেক মেম্বার দুলাল ঠাকুর সমর্থিত লোকজন দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। এর জের ধরে গত সোমবার দুপুরে দুলাল ঠাকুর সমর্থিত লোকজন জলিল শেখকে (৫০) মারধর করে আহত করে। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী দীঘলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশের মধ্যস্থতায় ওই গ্রামে এক শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পরপরই দুলাল ঠাকুরের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা, ছ্যানদা নিয়ে জলিল-মিন্টু সমর্থিত নূর ইসলাম মৃধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নূর ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইকবাল, ইকরাম, শাহীন মোল্যা, জামেলা বেগম, পান্নু গাজী, সানোয়ার গাজী, লিয়াকত হোসেন, জলিল মোল্যা ও সুজন ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করে। আহতদের লোহাগড়া, নড়াইল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত গ্রাম্য মাতবর নূর ইসলাম মৃধাকে (৪২) নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পরই দুলাল ঠাকুর গ্রুপের লোকজন মিন্টু-জলিল সমর্থিত লোকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলিবর্ষণ করে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন