ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল তৈরির ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলেন- ভুয়া দলিলদাতা সাধন সরকার, শনাক্তকারী মো. রুস্তম আলী এবং সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাহারুল ইসলাম। দলিল লেখক কাজী সাহারুল সদর উপজেলার সুুহিলপুর ইউনিয়ন আ.লীগেরও সাধারণ সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া দাতা সেজে জায়গা দলিল করে নেয়ার ঘটনা ধরা পরার পর রাতে জমির ভুয়া বিক্রেতা, দলিল লেখক ও দলিল শনাক্তকারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার জয়ন্তী রানী চক্রবর্তী মামলা করেন। মামলায় ভুয়া দলিলদাতা বিজয়নগর উপজেলার দক্ষিণ রাজাবাড়ি গ্রামের সাধন সরকার, শনাক্তকারী জেলা শহরের কান্দিপাড়া মহল্লার মো. রুস্তম আলী এবং দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাহারুল ইসলামকে গ্রেফতর করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর সাব রেজিস্টারের এজলাসে বিজয়নগর উপজেলার চর-পাঁচগাও মৌজার ৩৫ শতক জমি নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়। খতিয়ানে জমির মূল মালিক হিসেবে মৃত চন্দ্র কিশোর শর্মার ছেলে হরেন্দ্র কান্ত শর্মার নাম উল্লেখ থাকলেও নিবন্ধনের জন্যে দলিল দাখিল করেন সাধন শর্মা। সে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা অবচরণ সরকারের পরিবর্তে হরেন্দ্র কান্ত শর্মা লিপিবদ্ধ করেন। সাব রেজিস্ট্রার মো. ইয়াছিন আরাফাতের নিকট বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি এ ব্যাপারে জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ভুয়া বলে নিশ্চিত হন। এরপরই সাধন সরকার এবং মো. রুস্তম আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাতে মামলা হবার পর পুলিশ ওই দলিলটির লেখক কাজী সাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। দলিল গ্রহিতা হিসেবে নাম রয়েছে বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর গ্রামের মো. ইয়াছিন মিয়ার। তাকে ছাড়াও শহরের মেড্ডার নয়ন ঋষি এবং বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরের মো. নূরুল ইসলামকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। সদর সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী আখাউড়ার সাব রেজিস্ট্রার মো. ইয়াছিন আরাফাত জানান, নিবন্ধন মহা পরিদর্শকের সাথে কথা বলে মূল দলিলটি জব্দ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আবদুর জানান, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের গত শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন