কলারোয়া সীমান্ত পথে আবারো ভারতীয় অসুস্থ ও বুড়ো গরুর নিম্নমানের মাংস পাচার হয়ে আসছে। ব্যবসায়ীদের কাছে এই মাংস সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা যায়, কেড়াগাছি ও ভাদিয়ালী সীমান্ত পথে বেশির ভাগ মাংস বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসছে। হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম অঞ্চলে গরু জবাই ও মাংস খাওয়ার সুযোগ নেই। তাই পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা মাঝে মাঝে যে সব গরু জবাই করে খায় তা হৃষ্টপুষ্ট, সুস্থ্য সবল। এজন্য পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকার বৃদ্ধ ও রুগ্ন গরুগুলো ব্যবসায়ীরা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। কিন্তু সুস্থ্যভাবে বাংলাদেশের হাট বাজারে পৌছানোর মত ক্ষমতাহীন গরুগুলো বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় এলাকায় এনে জবাই করে মাংস বাংলাদেশে পাঠানো হয়। যে দিন কোন কারণে সীমান্তে বেশি কড়াকড়ি আরোপ থাকে সেদিন মাংস পলিথিনে মুড়ে দড়ি বেধে নদীর তলদেশ দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই মাংস শেষ রাতে বাংলাদেশে পৌছায়। গয়ড়া, বুঝতলা, হিজলদী, সোনাবাড়িয়া, সিংগা, দমদম, বালিয়াডাঙ্গা, লাঙ্গলঝাড়া, ব্রজবাকসা, কাজিরহাট, শাকদা, খোর্দ্দ, রায়টা, দেয়ড়া, যুগিখালী, সরসকাটি, জালালাবাদ, ধানদিয়া মোড়ের অসাধু ব্যবসায়ীরা সীমান্ত থেকে মোটরসাইকেল যোগে ভারতীয় মাংস স্ব স্ব দোকানে নিয়ে যায়। এরপর অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশিয় মাংস বলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে বলে সূত্র জানায়।
আবার কলারোয়া, বাগআঁচড়া, বাকড়া, খোর্দ্দ, সরসকাটি বাজারের বহু হোটেলে ভারতীয় রুগ্ন ও বুড়োর মাংস রান্না করে ক্রেতা সাধারণকে খাওয়ানো হচ্ছে। তাছাড়া কম দামে পেয়ে বহু মানুষ ফেরি করে বিক্রিত ভারতীয় রুগ্ন ও বুড়ো গরুর মাংস কিনে খাচ্ছে। কিন্তু রোগাক্রান্ত ও বুড়ো গরুর মাংসের পুষ্টিমান শূন্যের কোটায় বলে মানুষের কোন উপকার হচ্ছে না। এই মাংস সুস্বাদু নয়; বরং দাত দিয়ে পিষ্ট করা কষ্টকর হয়। আর হাড়ের ভেতরে সুস্বাদু মজাদার মজ্জা নেই। এসব বুঝেও অভাবগ্রস্ত দরিদ্র মানুষ আত্মীয়-স্বজন এলে পয়সার অভাবে ভারতীয় মাংস কিনে খাচ্ছে। তবে ভারতীয় মাংস নিয়ে প্রতারণা রোধে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন