বাবার নির্যাতনেই অতিষ্ঠ ছিলো কলেজ ছাত্রী পাখি আক্তার (১৬)। বাবার মানসিক নির্যাতনে মায়ের মৃত্যুর পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মায়ের উসকানিতে পাখির ওপর বাবার অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন আরো বাড়তে থাকে। পাখির মায়ের পেনশনের টাকা পুরোপুরি আত্মসাতের জন্য বাবার নির্যাতন সইতে না পেরে পাখি হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে। পাখি আক্তার পাটগাতী গ্রামের সৈয়দ রেজভী হাসানের মেয়ে। পাখি গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী। হারপিক পানে অসুস্থ পাখিকে প্রথমে খুলনা ও পরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছে। পাখি বর্তমানে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় পাখির নানা আবুল বসার সরদার টুঙ্গিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে,সৈয়দ রেজভী হাসান তার মেয়ে পাখিকে ছোটবেলা থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। নির্যাতন সহ্য করতে না আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে টয়লেটে ব্যবহারের হারপিক পান করে। শুধু পাখিই নয় তার মা আনজুমান আরার উপর ও শারীরিক নির্যাতন করতো সৈয়দ রেজভী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন