রাঙামাটি শহরে অবস্থানরত বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে মতবিনিময় ও ছাত্রসমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা। গত শুক্রবার বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার আয়োজনে কাঠালতলী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শাব্বির আহম্মেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে অনাগ্রসর অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চাকরি, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা রকম কোটা ও সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সরকার। তবে একই এলাকায় বসবাস করে এবং জনগোষ্ঠীর অর্ধেক হয়েও তা পাচ্ছেন না বাঙালিরা। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগিরা। অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুযোগ-সুবিধা বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান তারা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাঙালিরা সরকারি বরাদ্দের কোনো কিছুই পান না। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে যেসব সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ অঞ্চল এবং অনাগ্রসর অঞ্চল হিসেবে যেসব বরাদ্দ দেয়া হয় তার পুরোটাই ভোগ করছে উপজাতিরা। কারণ স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে বেশিরভাগ স্থানে উপজাতিরা নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং তারাই তালিকা করেন কাদেরকে বরাদ্দ দেয়া হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, স্থানীয় উপজাতি প্রতিনিধিদের তালিকায় কোনো বাঙালির নাম থাকে না। ফলে জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই চলতে হচ্ছে। অন্য দিকে উপজাতি জনগোষ্ঠী এককভাবে এর পুরোটা লাভ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন