বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দৌলতপুরে নৌকা আর সাঁকোই ভরসা

আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

সিলেটের ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের অবহেলিত এক গ্রামের নাম দৌলতপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়ি নদীর ওপর একটি ব্রিজের অভাবে বর্ষায় নৌকা এবং গ্রীষ্মে সাঁকোই একমাত্র ভরসা। যুগযুগ ধরে গ্রামের লোকজন একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলে নদীর ওপর ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণের নিমিত্তে দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু অর্থ সঙ্কটের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামের মানুষ একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসলেও কতিপয় ব্যক্তির কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে এলাকার মানুষ জানান।
জানা যায়, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে প্রায় শতাধিক হতদরিদ্র্য পরিবারের বসবাস। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অবহেলিত এই গ্রামের মানুষ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। গ্রামের একদিকে বুড়ি নদী, অন্যদিকে সাদিখাল। লোকজন গ্রাম থেকে বেরুতে হলে স্থানীয় বুড়ি নদী পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু নদীতে কোনো ব্রিজ না থাকায় বর্ষায় নৌকা এবং গ্রীষ্মে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। যোগাযোগ ব্যবস্থার করুণ দশার কারণে এলাকায় শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার হারও বেশি। বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৬ মাস বিদ্যালয়ে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। শিশুরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিতে হয়। যার কারণে প্রায় সময় ঘটে দুর্ঘটনা। গ্রামবাসীর এই দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে সম্প্রতি আবারও একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসী। সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে দৌলতপুর অনিল দাশের বাড়ি ও গজিয়া হাজী তাজ উল্ল্যার বাড়ি সংলগ্ন বুড়ি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের একটি প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রামের যুবক মতি লাল দত্ত বলেন, ১৯৯৬ সালে আমিই একমাত্র এই গ্রাম থেকে এসএসসি পাশ করি। বর্ষায় নৌকা ছাড়া কেউ বেরুতে পারে না বলে প্রায় ৬ মাস বিদ্যালয়ে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। শুষ্ক মৌসমে বাঁশের সাঁকো থাকলেও ছোট শিশুরা সাঁকো বেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। অন্তত গ্রামের শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে জরুরি ভিত্তিতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তিনি। গ্রামের রেজন আহমদ বলেন, ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আমরা জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশা করি গ্রামবাসীর কষ্ট দূরিকরণে তারা কার্যকরী ব্যবস্থা নিবেন।
পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ মতিন গেদাই বলেন, দৌলতপুর গ্রামটি খুবই অবহেলিত। একটি ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। ওসমানীনগর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিলন রায় বলেন, বুড়ি নদীর ওপর ৬০ ফুট লম্বা একটি ব্রিজ নির্মাণের নিমিত্তে একটি প্রকল্প প্রস্তাব ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলেই ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Bisshojit Das ১২ নভেম্বর, ২০২০, ৮:১৭ পিএম says : 0
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শুদিষ্টি কামনা করছি,হতদরিদ্র্য পরিবারের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে হলেও একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজে সহায়তা করোন প্লিজ
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন