শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন ভবনের উচ্চতা নির্ধারণের সময় বাড়লো দুই মাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান’র (ড্যাপ) আওতায় নতুন ভবনের উচ্চতা নির্ধারণের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আরও দুই মাস সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
গতকাল সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান’ (ড্যাপ) রিভিউয়ের লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ড্যাপের আওতায় নতুন ভবনের উচ্চতা কত হবে সেটা নির্ধারণের জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা নিয়ে ভিন্নমত আছে। ভিন্নমতগুলো দুই ভাগে ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সবাই সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি, তাই আজকের সভায় ভবনের উচ্চতা নির্ধারণের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আরও দুই মাস সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরকে অত্যন্ত সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ শহর হিসেবে বসবাসের উপযোগী হিসেবে দেখতে চাই। সেখানে যাতে কোনো জলাশয় বা কোনো জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত না হয় সেজন্য সবাই নিরপেক্ষভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। মন্ত্রীরা জোরালোভাবে বলেছেন তিনি যেই হোন না কেন নিয়মবহিভর্‚তভাবে কেউ যদি শ্রেণি পরবির্তন বা অবকাঠোমো নির্মাণের চেষ্টা করেন সেগুলো করতে দেয়া হবে না। ড্যাপ আরও বিশদভাবে পর্যালোচনা করে চ‚ড়ান্ত করতে গত ২৫ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী, ভ‚মিমন্ত্রী, নৌপ্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করে সরকার।

রাজধানীর সড়ক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে তুলনামূলক সড়ক কম। একটা শহরের জন্য ২৫ শতাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হয়, সেখানে পাঁচ শতাংশের কিছু বেশি আছে। রাজউকের চেয়ারম্যান, পূর্ত সচিবকে দায়ী করা ঠিক হবে না। কারণ উনারা এটা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। এখন আমরা কি করতে পারি। সরকারের প্রচেষ্টার পরেও এসব ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক না করতে পারলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মাস্টার প্ল্যান করে কোথায় কি থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, মাস্টার প্ল্যান করে সব কিছু করা হবে। অনুমোদনহীন ভবন হলে রুলস আছে এবং অথরিটি আছে সেগুলো দেখভাল করার জন্য দুই সিটি করপোরেশনসহ অন্যদের যুক্ত করে আরও সাব-কমিটি করা হবে। তিনি বলেন, মানুষ বেশি, রাস্তা কম। ভবন ওপরের দিকে উঠতে দেবেন না, নাকি? মানুষকে তো বসবাস করতে হবে। যে যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমলসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রাখা হয় তবে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে না। গাড়ি যখন লাগবে না তখন ট্রাফিক লোড কমবে। আপনি ভেহিকেলও রাখবেন, মানুষের সংখ্যাও বাড়াবেন, আবার হাই রাউজ বিল্ডিং বাড়াবেন তাহলে এটা ম্যানেজ করবেন কীভাবে? কাউকে যদি ছুরি মারা হয় তাহলে তিনি মারা যাবেন। ছুরিও মারবেন কিন্তু তিনি মরতে পারবেন না, এ রকম তো কোনো সূত্র পৃথিবীতে নেই।

মন্ত্রী বলেন, কোনো অঞ্চলে লোকজন বেড়ে যাওয়ার পর পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইন পরিবর্তন করতে হয়। কনজিউমার বেড়ে গেলে ইলেকট্রিসিটি ও গ্যাসের লাইন এগুলো বাস্তব, এটাকে অস্বীকার কীভাবে করবেন? গত ২ সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নতুন ড্যাপের খসড়া প্রকাশ করে। নতুন ড্যাপের বিষয়ে অংশীজনদের মতামত নিচ্ছে রাজউক। অনলাইনে রাজউকের ওয়েবসাইটে ও সরাসরি রাজউক কার্যালয়ে গিয়ে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেয়ার সুযোগ ছিল। নতুন ড্যাপের খসড়া অনুযায়ী, রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডির মতো এলাকায় সর্বোচ্চ ১৪তলা পর্যন্ত আবাসিক ভবন করা গেলেও জনঘনত্ব অনুযায়ী এসব এলাকায় সর্বোচ্চ আট তলা ভবন নির্মাণের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে জমির ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ উন্মুক্ত রাখলে ভবনের উচ্চতা বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন