চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ায় ফসলের মাঠে সবুজের সমারোহ। এরই মধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সোনালি ধানের সমুদ্র চোখে পড়ে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষি মাঠের সামন্য ক্ষতি হলেও সামগ্রীকভাবে আমনের গাছ ভালো হয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস। আমনের বাম্পর ফলনের আশা করছেন কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মেীসুমে রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। এই ছাড়া চট্টগ্রামের শস্যভান্ডার হিসাবে খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে পূর্বে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হলেও এবার ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে।
চলতি মেীসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে চালের হিসাবে প্রতি হেক্টরে ৩.৬৭ মেট্রক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ৩দিন ধরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামি ২০ দিনের মধ্যে পুরোদমে উপজেলার তৃণমুলে ধান কাটা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। আব্দুর গফুর নামে একজন কৃষক এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি ৩ একর জমিতে চাষাবাদ করেছেন। মোটামুটি আবাহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদী। এদিকে কিছু কিছু এলাকায় জমিতে ধানকাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। জব্বার নামের আরেকজন কৃষক বলেন, আমরা কৃষকরা ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারন গতবারের চেয়ে শ্রমিকের দাম এবারে বেশি। একজন শ্রমিকের মজুরি ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা করে।
এছাড়া কানি প্রতি ২০০০ টাকা করে বায়না দিয়ে শ্রমিকের দল ধান কাটার জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, রোগবালাই থেকে রক্ষা করে ফলন কিভাবে বাড়ানো যাবে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষিকর্মর্তা জানান, রাঙ্গুনিয়ায় এবারে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমান চারা রোপন করা হয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে ধান কাটা সম্পন্ন হবে। আমন ধান এবারে গতবারের চেয়ে রক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে তিনি আমাবাদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন