চাষাবাদ লাভজনক হয়ে উঠায় যশোর ও আশপাশের জেলার পাটের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পাটের এই সুদিনে এটির বিচিত্র ও বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে কাজ করা একটি অফিস জেলা থেকে সরিয়ে অন্য জেলায় নেয়া হচ্ছে। এখানকার বহুমুখী পাট শিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র ও জুট ডাইভারসিটি প্রমোশন সেন্টারটি রাজশাহীতে চলে যাচ্ছে।
অফিসটি স্থানান্তর হলে জেলায় পাটের বহুমুখী পণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হবে। যেটি পাটজাত পণ্য তৈরির সাথে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও জনবলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এমনটাই আশংকা করা হচ্ছে।
পাট পণ্যের বিকাশের জন্য জেলায় নানা ধরণের কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে বহুমুখী পাট শিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র (জেইএসসি) ও জুট ডাইভারসিটি প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)। অফিসটির পরিচালিত এসব কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে পাট পণ্যের ডিজাইন ওয়ার্কশপ, মার্কেটিং, ডাইং ও ফিনিশিংসহ গুণগত মান উন্নয়নের ওপর প্রশিক্ষণ। এসব ছাড়াও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ ও মূল্য নির্ধারণের ওপরও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পাশাপাশি পাট পণ্যের কেনাবেচার সুযোগ সৃষ্টির জন্য অন্যান্য সংস্থা আয়োজিত মেলায় অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করে এই দপ্তরটি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির সচেতনতা কর্মশালা ও দক্ষতা-উচ্চ দক্ষতা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে পাটপণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত বহুমানুষ লাভবান হয়েছেন এবং এখনও হচ্ছেন।
এমন অবস্থায় পাটজাত পণ্য উৎপাদনে জড়িত মানুষদের জন্য এরকম একটি উপকারী প্রতিষ্ঠান যশোর থেকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোরালো দাবি উঠেছে। কারণ অফিসটি চলে গেলে এসব সুবিধা বঞ্চিত হবে এই অঞ্চলের মানুষ।
জানা যায়, শুধুমাত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, নরসিংদী, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও যশোরে জেইএসসি ও জেডিপিসির অফিস রয়েছে। আর এমন একটি অফিস যশোরের কৃষি নির্ভর অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটির স্থানান্তর বন্ধ জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন যশোরবাসী।
এ প্রসঙ্গে যশোরের হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান ‘ভূমি’র স্বত্ত¡াধিকারী নারী উদ্যোক্তা নবণীতা সাহা তপু বলেন, বিশ্বে পাটজাত পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ছে। ফলে পাটজাত পণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। বাজার সৃষ্টি হওয়ায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে এ নিয়ে আগ্রহও বাড়ছে। এই অফিসটি পাটজাত পণ্য উৎপাদন, বিপণনে উদ্যোক্তাদের পাশে রয়েছে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা উপকৃত হচ্ছে। এই অবস্থায় অফিসটির স্থানান্তরে এই উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন