গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর মহিলা যুবলীগ নেত্রী মৌসুমী আক্তারের বসত বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা নেত্রীর গাড়ির ড্রাইভার ও পরিবারের তিন জনকে মারধর করে আহত করে। ১৪ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেত্রীর স্বামী পৌরসভার কর্মচারী জহিরুল হক সবুজ শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, শ্রীপুর পৌর মহিলা যুবলীগের সভাপতি মৌসুমী আক্তারের গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে একই এলাকার মৃত খালেকের পুত্র লিটন মিয়া কাজ করত। গত তিন মাস পূর্বে লিটন ড্রাইভারের চাকরি ছেড়ে বরমী ইউনিয়নের পদ্মা ইন্সুরেন্সে ইনচার্জ হিসেবে কাজ শুরু করে। সম্প্রতি ওই লিটন মিয়া শ্রীপুর পৌরসভার ওয়াদ্দাদীঘির পাড় এলাকার এক নারীর সাথে সম্পর্কের জের ধরে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে লিটনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন মৌসুমী সরকার ও তার স্বামী সবুজ মিয়াকে দোষারুপ করে তাদের সাথেও বিরোধ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে গত শনিবার সকালে লিটনের স্ত্রী আমেনা খাতুন (২৫) আদম আলীর মেয়ে বকুলা (৩৫), আবুল হোসেনের স্ত্রী পপি আক্তার (৩৩), রফিকের স্ত্রী শিউলী (২৭), হারুনের স্ত্রী বিলকিস (২৫), শ্রীপুর ২নং ওয়ার্ডের আকবরের মেয়ে জেসমিন (৩০) তাদের বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় এবং তাদের বসত বাড়িতে ভাঙচুর করে যুবলীগ নেত্রীর স্বামী সবুজ মিয়া, তার মেয়ে সুমি আক্তার ও প্রাক্তন ড্রাইভার লিটনকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় হামলাকারিরা বসত ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমেনা খাতুন জানান, তার স্বামী লিটন সবুজ মিয়ার ইন্দনে অন্য নারীর সাথে সম্পর্ক করে এবং সবুজের আশকারায় লিটন অন্যত্র বিয়ে করেছে। সবুজ মিয়ার কারনেই তার সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন