মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল, দিঘীরপার ও শরীয়পুরের সীমানাধীন পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস মাছ। বিগত বছরের তুলনায় এই বছর নদীতে অনেক বেশি ধরা পরছে।
সরেজমিনে গতকাল টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল ও দিঘীরপারের মৎস্য আড়তে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে পাঙ্গাস রেখে দিয়েছে জেলেরা। পরে সেই মাছগুলো আড়তের মালিকরা পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। এছাড়াও দাম কম হওয়ায় দূরদূরান্ত হতে অনেক ক্রেতা ও পাঙ্গাস মাছ ক্রয় করছেন। একেকটা মাছের ওজন ১০-১৫ কেজি। দেখা গেছে প্রতি কেজি পাঙ্গাসের মূল্য পরে প্রায় ৬০০-৭০০ টাকা। দিঘীরপার মৎস্য আড়তে মাছ বিক্রি করতে আসা জেলে হাবিব জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নদীতে বেশি বেশি পাঙ্গাস ধরা পরছে। আমি গত রাতে ৩২টি বড় পাঙ্গাস পেয়েছি।
এছাড়া হাসাইল ও দিঘীরপার মৎস্য আড়তদারদের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তারা জানান, জাটকা ইলিশের মতো যদি সরকার পাঙ্গাসের বাচ্চা বিক্রি বন্ধ করে তাবে ভবিষ্যতে আরো অনেক পাঙ্গাসের দেখা মিলবে।
এ ব্যপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন মৃধা জানান, প্রতি বছরই ইলিশের প্রজনন মৌসুমের পর নদীতে পাঙ্গাস মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গত বছর পাঙ্গাসের জাটকা বিক্রি বন্ধে আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন