শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দুই সদস্যেই এক বছর পার

ঈশ্বরগঞ্জে যুবলীগ

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ময়মনসিংহে গঠণতন্ত্র লঙ্ঘন করে টানা এক বছর ধরে দুই সদস্যের কমিটিতে চলছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ। এনিয়ে সংগঠনের ভেতরে-বাইরে মিশ্র প্র্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ কর্মীদের অভিযোগ, হত্যা মামলার আসামি, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও বিএনপি জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশাকারীরা এখন যুবলীগের নেতৃত্বে রয়েছেন। এতে সংগঠনে অস্তিত্ব সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের ভাষ্য, উপজেলার ৪নং আঠারবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হাবি মেম্বার ও হাদিস মিয়া হত্যা মামলার আসামি। ২নং সোহাগী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আসাদ মিয়া হাবিব চেয়ারম্যানের বড় ভাই হত্যা মামলার আসামি। একই ইউনিয়নের অপর যুগ্ম আহবায়ক আনিস পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। ৩নং সরিষা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তৈয়ব আলী সুজন ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ৫নং জাটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা আবু সাঈদ। সাবেক জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম রুবেলকে করা হয়েছে উপজেলার কাউন্সিলর। 

৯নং উচাখিলা ইউনিয়নে রাজাকারের নাতি এবং সাবেক যুবদল নেতাকে যুগ্ম আহবায়ক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সূত্র মতে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা যুবলীগের বিতর্কিত কর্মকান্ড তুলে ধরে জেলা নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সাবেক সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন। অভিযোগে জানায়, ২০১৫ সালের ২২ মার্চ মতিউর রহমান মতিকে আহবায়ক করে ৯০ দিন মেয়াদী কমিটি অনুমোদন করেন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যার ওমর ফারুক চৌধুরী। ওই কমিটি টানা দুই বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হলে ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি আবুল খায়েরকে আহবায়ক করে নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা যুবলীগ।
এর এক বছর পর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে শুধুমাত্র ৬নং মাইজবাগ ইউনিয়ন শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১১নং বড়হিত ইউনিয়নের সম্মেলন হলেও ২য় অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। ১০নং তারুন্দিয়া ইউনিয়নে কাউন্সিলর তালিকা না করে বিতর্কিত নেতৃত্বে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়। বাকী ৮টি ইউনিয়নের সম্মেলন না করেই ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই উপজেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের পূর্বে বর্ধিত সভা বা কার্যকরি কমিটির সভা করার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি। কাউন্সিলর তালিকা প্রকাশ করা হয় সম্মেলনের দিন। ওই তালিকায় বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশাকারীদের কাউন্সিলর করা হয়।
তবে সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি স্থানীয় আ.লীগ। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের। তিনি বলেন, অভিযোগ হতেই পারে। আমি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহর জন্য ঢাকায় থাকি। রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার জন্য। আমার পিতা আ.লীগের নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব হয়েছিল। আন্দোলন সংগ্রামে ৮টি মামলার আসামি ছিলাম। তিনি দাবি করেন, গঠণতন্ত্র মেনেই উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়েছে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ রাহাত খান বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন