শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ছোট-বড় গর্তে চলাচল অনুপযোগী

তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক

মো. হাসান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

সুনামগঞ্জ সুরমা নদীর ব্রিজের পশ্চিমপাড় (আম্বর পয়েন্ট) থেকে লালপুর এলাকা সড়ক খানাখন্দ কিছু কম থাকলেও সালামপুর থেকে চালবনবাজার (পয়েন্ট) এই ৬ কিলোমিটার সড়কটি বর্তমানে যানচলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের ৩য় দফা বন্যা, আর ভারী ভর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। এ জন্য পায়ে হেটে চলতে গেলেও দুর্ভোগে পড়তে হয়। চলাচলের বিকল্প কোনো পথ না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারি। মাঝে মধ্যে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ছে যানবাহন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি বেহাল দশা থাকলেও সংস্কারের জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
জানা যায়, এই সড়ক দিয়ে তাহিরপুর ও বিশ্বেম্ভরপুরের ২ উপজেলার ৮ হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, উপজেলা পরিষদ, সরকারি কলেজ, হাসপাতাল, থানা, কৃষি অফিস, সমাজ সেবা অফিসসহ সরকারি বেসকারি কর্মকতা, কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন। জেলা শহর থেকে তাহিরপুর উপজেলা যেতে সময় লাগার কথা ৬০ মিনিট। কিন্তু ৩৫ কিলোমিটার পথ যেতে এখন সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
লালপুর বাজারের সিয়াম অ্যান্ড কনফেশনারি ব্যবসায়ী আলম হোসেন বলেন, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আম্বর পয়েন্ট থেকে চালবন অংশ যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় জেলা শহর থেকে পরিবহন ভাড়া দিগুণ দিয়ে মালামাল বহন করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ব্যবসায়ীদের খেসার দিতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার ভাদের টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারক আহমদ বলেন, এ সড়ক বিগত বছর কয়েক আগে সংস্কার হয়। এ বছর ৩য় দফা বন্যা আর ভারী ভর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের দুর্দশার অন্ত নেই। জীবিকার প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
পলাশ ইউনিয়নের রাজঘাট গ্রামের সিএনজি চালক এমদাদুল হক বলেন, সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচলে খুব সমস্যা হয়। যাত্রী গাড়িতে উঠতে চায়না ভয় পায় কখন যেন গাড়ি গর্তে পড়ে উল্টে যায়। গাড়ি দিয়ে আগের মতো রুজি করতে পারছি না এজন্য ছেলে মেয়ে নিয়ে বড় কষ্টে আছি।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওসমান মিয়া বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য প্রকল্পটি সিলেট বিভাগীয় অফিসে পাঠিয়েছি অনুমোদন পাওয়া গেলে শিগগিরই কাজ শুরু হবে। কাজের গুনগতমান সঠিক রেখে সড়ক সংস্কার করা হবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন