সুনামগঞ্জের ছাতকে কুলসুমা বেগম (৩০) নামের এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে ওই দিন রাতেই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে ৪নম্বর এলাকায় লাশ দাফন করা হয়। কুলসুমা বেগম ছাতক সিমেন্ট কারখানার ইঞ্জিনিয়ারিং টিলার বাসিন্দা ও কারখানার সমবায় সমিতির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের কন্যা।
জানা যায়, বুধবার রাতে প্রতিদিনের মতো রাতের খাবর খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে কুলসুমা। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায় করে মেয়েকে নিজ কক্ষে না দেখে তাকে খুঁজতে থাকেন পিতা সিরাজুল। এক পর্যায়ে বসতঘর সংলগ্ন একটি আম গাছের ডালের সাথে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। ছাতক থানার এসআই আতিক ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এ সময় পৌর কাউন্সিলর আখলাকুল আম্বিয়া সোহাগ ও সুদীপ দে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এমএ পাস করা কুলসুমা বেগম পরিবারের দুঃখ ঘুচাতে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চাকুরীর জন্য প্রায় ৩০টি আবেদন করেন। অবসর প্রাপ্ত পিতার পরিবারে বোঝা না হয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করতে সে চাকুরীর জন্য হন্য হয়ে ঘুরেছিল। কিন্তু ভাগ্য তাকে সহায়তা না করায় এক পর্যায়ে তার সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা পেরিয়ে যায়। অপর দিকে উপযুক্ত পাত্রের হাতে কুলসুমাকে পাত্রস্থও করতে পারছিলেন না তার পরিবার। এসব ঘটনায় মান-অভিমানে উচ্চ শিক্ষিত কুলসুমা বেঁচে নেয় আত্মহত্যার পথ। পরিবারের অজান্তে বসত ঘর সংলগ্ন একটি আম গাছের ডালের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন