হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালালেন তার স্বামী ফুয়াদ হাসান। গত শুক্রবার (রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুয়মুন মুনা ময়মনসিংহ মহানগরীর জামতলা মোড় এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে। ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, ২০১৪ সালে জামতলা মোড়ের নাসিম হোসেনের ছেলে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে মুয়মুন মুনার বিয়ে হয়। তাদের চার বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে- এরই জেরে ফুয়াদ তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। মুনাকে হাসপাতালে রেখে ফুয়াদসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছে। ফুয়াদসহ পলাতকদের আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের মামা ফারুক হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ফুয়াদ তাদেরকে মোবাইল ফোনে কল করে জানায় মুনা অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। পরে মুনাকে হাসপাতালে রেখে ফুয়াদ সটকে পড়ে। তিনি আরও বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময়েই যৌতুকের জন্য মুনাকে মারপিঠ করতো। সংসার টিকানোর জন্য জায়গা বিক্রি করেও ফুয়াদকে টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফুয়াদ মুনাকে মেরে গলায় রশি লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখবে তা ভাবনার বাইরে ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন