গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার দেশ ও দেশের জনগণের ভবিষ্যত বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা এখন জনগণকে ভয় পায়। গতকাল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক যৌথ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্রচিন্তা ও গণসংহতি আন্দোলন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণ যেন কথা বলতে না পারে সে জন্য পেটোয়া বাহিনী দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার এখন জনগণকে ভয় পায়।
তিনি বলেন, সরকারের সব অপকর্মের হিসাব নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলের ওপর হামলা-মামলা ও নেতাকর্মীদের গুম করে কয়দিন টিকে থাকবেন? জনগণ একদিন এই ভোটারবিহীন সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
ভিপি নুর বললেন, আমরা কারও কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে রাজপথে আসিনি। আমরা জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে রাজপথে আন্দোলন করছি, এটা প্রমাণ করতে পারলে ‘কথা দিলাম রাজনীতি ছেড়ে দেবো’।
নুরুল হক নুর বলেন, আজ কেউ রাস্তায় নামলেই বলা হয় জামায়াত-শিবির। পাঁচজন এক জায়গায় অবস্থান করলে বলা হয় নাশকতামূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা করছে, পুলিশ হয়রানি করছে। সরকার দেশকে বিভাজিত করতে সাম্প্রদায়িকতাকে ইস্যু করছে, সা¤প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার দেশকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিতে চায়, আমরা এটা হতে দেবো না। মাদ্রাসা ছাত্রদের জঙ্গি তকমা লাগিয়ে অ্যাম্বাসিগুলোতে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিবেশি কোনো দেশের তাবেদার হতে পারি না। চীন, ভারত, পাকিস্তান যেই হোক দেশকে ব্যর্থ করতে এলে আমরা আন্দোলন করবো, তাদের চেষ্টা রুখে দেবো।
গণস্বাস্থ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা তাসলিমা খাতুন, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ুম, ভাষানী পরিষদের মহাসচিব রাশিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক ফারুক হাসান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন