শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আরডিসি নাজিম উদ্দিনের যত অপকর্ম

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

বেরিয়ে আসছে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের আরডিসি নাজিম উদ্দিনের অপকর্মের নানা কাহিনী। সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের মতোই একই কায়দায় মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নির্যাতন ও হয়রানি করে আসছেন নাজিম উদ্দিন। তার হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে ভুক্তভোগী নির্যাতিতরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে থাকেন। একই কায়দায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ মানুষকে নানা অজুহাতে ধরে এনে জেল ও পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে বেশ কয়েকটি।
আরডিসি নাজিম উদ্দিনের হাতে নির্যাতিত খালেকুজ্জামান মজনু জানান, ২৬ ফেব্রæয়ারি রাতে হঠাৎ করে বাড়ির প্রত্যেকটি দরজার মধ্যে লাথি শুরু হয়। একপর্যায়ে আমার ঘরের দরজা ভেঙে আমাকে ঘর থেকে বের করে আনে। আমাকে বাইরে নিয়ে আসার পর আমি আরডিসি নাজিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাই এতো পুলিশ নিয়ে এসেছেন কি আমার অপরাধ। তারপর দুইজন আমার দুই হাত দুই দিকে ধরে গাড়িতে তোলে। গাড়িতে তোলার পর আমার মাথায় যে টুপি ছিল সে টুপিটা খুলে ফেলে দেয়। যদি টাকা থাকে দেও তোমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাই। তখন আমি বললাম যে আমি টাকা কোথায় পাবো। তারপর ডিসি অফিসের একটি রুমে বসিয়ে বলা হয় তোমাকে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়েছে।
নির্যাতিত বিশ্বনাথের স্ত্রী পারো বালা দাস জানান, আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে মারপিট করে জেলে দিয়েছে। দুইটি ছোট সন্তান নিয়ে তাদের পা ধরলেও তারা ছেড়ে দেননি। এমনকি ছোট ছোট বাচ্চা দুইটিকেও লাথি দিয়ে ফেলে দিয়েছে এই ম্যাজিস্ট্রেট।
এব্যাপারে ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে ভিতরবন্দ ইউনিয়নে অনেক সাধারণ মানুষকে এভাবে হয়রানি করেছে আরডিসি নাজিম উদ্দিন। এসব ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দিন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেন।
এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলা ভুমি কমিশনার থাকাকালীন নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় তাকে সেখান থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছিল। সেসময় তিনি কক্সবাজার শহরের কলাতলি এলাকার মোহাম্মদ আলী ওরফে নকু মাঝি নামের এক বৃদ্ধকে নির্যাতন করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
শুধু প্রত্যাহার নয় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন করেছে ছাত্র, যুব সমাজ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন