কাউখালী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধ ও সানাকুর মৃৎশিল্প, ইউপি পরিষদসহ প্রায় ৮টি গ্রাম নিশ্চিহ্নের হাত থেকে রক্ষাকল্পে গতকাল শনিবার পল্লীর নারী-পুরুষ বাসিন্দাদের এক ব্যতিক্রমি নৌ-মানববন্ধন পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ খসরুর ও আমরাজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দোহা চাঁনের উদ্যোগে নদীভাঙনের হাত থেকে ঐতিহ্যবাহী ‘মৃৎ শিল্পের গ্রাম’ সোনাকুর, আমরাজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ, কাউখালী খাদ্য গুদাম রক্ষাসহ বাদামতলা, সুবিদপুর, চিড়াপাড়া, মেঘপাল, গন্ধর্ব, আশোয়া ও সয়না রঘুনাথপুর গ্রাম কাউখালী উপজেলার মানচিত্র থেকে চিরতরে হারিয়ে না যায় সে লক্ষ্যে এই ব্যতিক্রমী নৌ মানববন্ধন পালন করে স্থানীয়রা। এ সময় গ্রামবাসী সরকারের কাছে সোনাকুর মৃৎ পল্লী ও বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষার দাবি জানান হাত উঁচিয়ে। মানববন্ধনে নারী পুরুষ ও শিশু যুবক সবাই এক কাতারে মিলে-মিশে ঘণ্টাব্যাপী নৌকায় দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করে। সোনাকুর গ্রামে প্রায় ২শ’ বছরের পুরান মৃৎ বা পাল সম্প্রদায়ের বসবাস। ঐতিহ্যবাহী পাল বাড়ির নারী-পুরুষের মাটির তৈরী বাসনকোষন গোটা উপকূলের মানুষের কাছে ছিল যথেষ্ট কদরের। যুগযুগ ধরে সন্ধ্যা নদীভাঙনে মৃৎ পল্লীর আজ বিলীন হতে বসেছে। নদের ভাঙনে নিঃস্ব-রিক্ত মৃৎশিল্পীরা এখন জীবন বাঁচাতে যে যেখানে পাড়ছে মাথা গোজার ঠাঁই করে নিচ্ছে। বর্তমানে মাত্র ৪০-৫০টি পরিবার বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে রেখেছে জোড়াতালি দিয়ে। অথচ সরকারিভাবে আমড়াজুরি ইউনিয়নকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য কখনোই নেয়া হয়নি কার্যকরী কোন পদক্ষেপ বা অনুদান হিসেবেও মেলেনি কোন অর্থকড়ি। মানব বন্ধন শেষে আঃ লতিফ খসরুর সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা তার বক্তব্যে বলেন উপজেলার আমরাজুরী ইউনিয়ন পরিষদ, আমরাজুড়ী হাই স্কুল, কাউখালী খাদ্য গুদাম, সোনাকুর এবং পাঙ্গাসিয়া এলাকায় পাইলিং সহ বেরী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো অচিরেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন