মাদারীপুরে মাদক মামলার দুই আসামিকে সংশোধনের জন্য ভিন্ন রকম সাজা দিয়েছেন আদালত। এক আসামিকে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পাঠদান ও অপর আসামিকে পৌরসভার মালির কাজ করার নির্দেশ দেন। গত সোমবার বিকালে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌসল এ শাস্তি ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার দক্ষিণ ডাসার গ্রামের সৈয়দ হারুণ অর রশীদের ছেলে সৈয়দ ফয়সাল হোসেন রুবেল (২৩) ও একই এলাকার কাজী আবুল বাশারের ছেলে কাজী সজল (২৪)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ সদর উপজেলার খৈয়ারভাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালায় জেলার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় রুবেজ ও সজলকে আলাদা আলাদা পঞ্চাশ পিচ ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পরে জেলার গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই এনামুল হক মন্ডল বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমানিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস দুই আসামিকে একবছর করে কারাদন্ড দেন। তবে, এই দন্ড তারা কারাগার ছাড়াই ভোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য সৈয়দ ফয়সাল হোসন রুবেজকে মাদারীপুরের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধীদের (প্রসিসেস) পাঠদানে সহায়তা করা ও অপর আসামি কাজী সজলকে মাদারীপুর পৌরসভার মালির কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়। যা আগামী এক বছর পর্যবেক্ষণ করবেন জেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তারা। প্রতি তিনমাস অন্তর সমাজসেবা কর্মকর্তারা আদালতে দন্ডপ্রাপ্তদের কর্মকান্ড বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর জজ কোর্টের পিপি মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ‘মূলত আসামিদের সংশোধনের জন্য আদালত এই রায় প্রদান করেছেন। আগামী এক বছর আদালতের শর্ত পূরনের ব্যর্থ হলে আদালত পরবর্তীতে নতুন পদক্ষেপ নিবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন