শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কক্সবাজারে সড়ক বিপ্লব

উন্নত যোগাযোগে বাড়ছে পর্যটক

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

পর্যটন শহর কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বাড়ছে পর্যটক। এতে সচল ও চাঙা হয়ে উঠছে পর্যটন শিল্প। সরকারের বাড়ছে রাজস্ব। বর্তমান পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে উন্নত বলা চলে। বলা যায় কক্সবাজারে এ যেন সড়ক বিপ্লব হয়েছে। এতে করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন সড়ক পথে কক্সবাজার ভ্রমনকারী পর্যটকরা।
কক্সবাজারের সাথে পর্যটক যোগাযোগের প্রধান ব্যবস্থা হচ্ছে সড়ক পথ। অবশ্য আকাশ পথে এবং নৌপথেও যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। তবে গত কয়েক বছরে কক্সবাজারের সাথে বিমান যোগাযোগ বাড়লেও নৌপথে পর্যটক যোগাযোগ স্বাভাবিক নয়। সড়ক পথেই বেশিরভাগ পর্যটক কক্সবাজার আসেন।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা এ প্রসঙ্গে বলেন, সড়ক পথে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন খুবই চমৎকার। কক্সবাজার জেলায় সওজ-এর সড়ক পথ আছে সর্বমোট সাড়ে ৫ শ’ কি.মি.। এর মধ্যে ১৭০ কি.মি. সড়ক পথ সংস্কারে এখন প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। এরপরে মাত্র ৩০ কি.মি. সড়ক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। এ জন্য খুব শিগগিরই টেন্ডার আহবান করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সীমানা থেকে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কি.মি. সড়কের উখিয়া পর্যন্ত উন্নয়ন কাজ চোখে পড়ার মত সংস্কার করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শহীদ এটিএম জাফর আলম (আরাকান) সড়কের ভোগান্তি আর নেই। একইভাবে চোখ জোড়ানো মেরিন ড্রাইভ সড়ক তো আছেই।
এদিকে শহরতলীর লিংক রোডের বাঁকখালী ব্রিজ থেকে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৮ কি.মি. সড়ক ৪ লাইন করে সংস্কার কাজ চলছে রাতদিন। এতে পর্যটকসহ সংশ্লিষ্টদের সময়িক কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে সংস্কার কাজ শেষ হলে এর সাথে মেরিন ড্রাইভের সংযুক্তিতে কক্সবাজার ভ্রমণের মজাই হবে আলাদা।
নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা আরো জানান, রামু-মরিচ্যা ১৬ কি.মি. সড়ক ১২ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নিত করে সংস্কার করা হচ্ছে।
এছাড়াও চকরিয়া একতা বাজার থেকে বনৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাটি পর্যন্ত ২৩ কি.মি. সড়ক ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নিত করে সংস্কার করা হবে। গত ২২ নভেম্বর এই সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের সড়কের উন্নয়ন করতে ভূমিকা রাখতে পারায় এই এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে তার খুব ভাল লাগছে।
একই সাথে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই সড়কে প্রায় দুই শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ শেষ হলে শহরে পর্যটক ও শহরবাসীর আর ভোগান্তি থাকবে না।
এদিকে সৈকতে কয়েকটি পর্যটক দম্পতির সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ চেপে পড়ার আগে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। প্রায় জাতীয় দিবসের বন্ধে আসতে না পারলেও প্রতি ঈদের ছুটিতে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকেন। কিন্তু গত দুই ঈদে করোনাকালীন লকডাউনে তারা আসতে পারননি। তাদের মতে কক্সবাজার-ঢাকা সড়ক যোগাযোগ আগের চেয়ে এখন অনেক উন্নত হয়েছে। তবে ভাঙনে কিছুটা সৌন্দর্য হারিয়েছে সৈকত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন