বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পালাতে থাকে হানাদারবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আজ ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১-এর এদিনে পাকসেনা মুক্ত হয় বেশ কটি জেলা। একের পর এক অপ্রতিরোধ্য অপারেশনের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক হানাদার বাহিনী। তবে স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি সেসব এলাকায় মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা বেশিরভাগ স্থাপনায়। এর মধ্যে পটুয়াখালীর গণকবর সংরক্ষণে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই বলে ক্ষুব্ধ সেখানকার মুক্তিযোদ্ধারা।

বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতীরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওয়াপদা খাল পাড়ের এ বাংকারগুলো। মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে নিয়ে গুলি করে এ ব্রিজ থেকেই ফেলে দেয়া হতো খালে। যুদ্ধের এক পর্যায়ে পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে নৌপথে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা।

আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, শহরের আশেপাশে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দলগুলো বরিশাল শহরে প্রবেশ করে প্রথমেই কোতোয়ালি থানার দখল বুঝে নেয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা হৈ-হুল্লোড় করে রাস্তায় আনন্দ প্রকাশ করতে থাকে।

এদিনে সীমান্তের কাছাকাছি কুমিল্লা বিমানবন্দরে অবস্থান নেন মুক্তিবাহিনী। মিত্রবাহিনীর সহায়তায় শত্রুরা পর্যুদস্ত হয়ে মুক্ত হয় এ জেলা। ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে ৮ মাসের যুদ্ধ শেষে ৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয় পটুয়াখালী জেলা। এরই মধ্যে প্রাণ হারায় দু’হাজার মানুষ। সবাইকে দেয়া হয় গণকবর।

৬ ডিসেম্বরের পর থেকে গেরিলা আক্রমণের মধ্যদিয়ে পাকসেনাদের পিছু হটিয়ে ৮ ডিসেম্বর শত্রু মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জেলার এ সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয় ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। এছাড়া গণকবর আর বিভিন্ন স্মৃতিফলক ছাড়াও অযত্ম-অবহেলায় এখানে আজও দাঁড়িয়ে আছে একটি শহীদ স্মৃতিসৌধ। এসব জেলার পাশাপাশি এদিন একের পর এক অপারেশনে পরাজিত হয়ে চাঁদপুর, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি ছাড়ে শত্রু সেনারা। আর তাতে বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন মুক্তিকামী জনতা।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন