শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

উন্নয়নের ছোঁয়া স্পর্শ করেনি

ধামরাইয়ের বেরশ শিবনাথ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মো. আনিস উর রহমান স্বপন, ধামরাই (ঢাকা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও তেমন স্পর্শ করেনি ৮৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী বেরশ শিবনাথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে। একদিকে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অন্যদিকে বিদ্যালয়ের আশপাশের প্রায় ১ কিলোমিটারের মধ্যে সড়ক বা রাস্তা-ঘাটেরও উন্নয়ন হয়নি। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় দিনদিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ফলে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, ভাষা আন্দোলনের প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ১৯৩৬ সালে উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ এলাকায় এসেছিলেন কলিকাতা থেকে হরিনারায়ন সেন নামের এক সনাতন ধর্মের শিক্ষাগুরু। তিনি তার ওস্তাদ/গুরুর শিবনাথ শাস্ত্রী নামের মিল রেখে প্রায় সাড়ে সোয়া ৩ একর জায়গার মধ্যে পুকুর ও খেলার মাঠসহ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। নাম দেয়া হয় বেরশ শিবনাথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তৎকালিন সময়ে ২০ কিলোমিটারের মধ্যেও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না।
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮১ সালে এমপিও ভূক্ত হয়। শুরু থেকেই টিনসেট ঘরে চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। এখনো তা কছুটা বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৯৫ সালে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট এবং ২০০৫ সালে আরো ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১ তলা পাকা ভবন করা হয়। এখনও রয়েছে ৪টি পুরানো টিনসেট শ্রেণিকক্ষ। সামান্য বৃষ্টি এলেই শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে প্রায় ৬ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষক রয়েছে ১২জন। ১৯৯৫ সালে নির্মিত ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে, দরজা জানালা ভেঙে গেছে। আসবাবপত্রসহ চেয়ার টেবিল ছাত্র-ছাত্রীদের বসার ব্রেঞ্চের রয়েছে স্বল্পতা। নেই মেয়েরদের কমনরুম ও ওয়াস রুম।
শুধুকি তাই এ ডিজিটাল যুগে নেই কম্পিউটার ল্যাব। ভাষা শহীদদের স্বরণের শহীদ মিনারটিও সেই পুরোনো ছোট আকারের। বিদ্যালয়ে প্রবেশ মুখে নেই কোন সাইনবোর্ড বা গেট।
এলাকাবাসী বলেছেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক ঐতিহ্য ও ইতিহাস রয়েছে। এ বিদ্যালয়ে আসার রাস্তাগুলি এখনো কাঁচা রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে কোন জনপ্রতিনিধির সুদৃষ্টি নেই।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ঢাকা জেলা আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ব্যাপারে আমাদের বর্তমান এমপি মহোদয়কে বলেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়নের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন