সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রাম বন্দরে লাঙ্গলের ঘোষণায় এলো ৫০ টন কসমেটিকস

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৫৮ পিএম

এবার কৃষি উপকরণ ‘লাঙ্গল’ আমদানির ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৫০ মেট্রিক টন সাবান, শ্যাম্পুসহ মূল্যবান কসমেটিকসের চালান। সিঙ্গাপুর থেকে তিনটি কন্টেইনারে আসা এ চালানের মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা শুল্কফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি আটকের পর কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কায়িক পরীক্ষা চলছিল। প্রসাধন সামগ্রীর মধ্যে মূল্যবান জনসন, সানসিল্ক, ডাভ ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু, কয়েকটি ব্র্যান্ডের সাবান, জেল, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ক্রিম, জিলেট শেভিং ফোম রয়েছে।
কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, রাজধানী ঢাকার চকবাজারের গোলাম মোস্তফা লেইনের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহা ট্রেডিং ৩০ টন পাওয়ার টিলারের লাঙ্গল আমদানির ঘোষণা দেয়। গত ১১ জানুয়ারি এমভি এক্সপ্রেস কার্বু জাহাজযোগে চালানটি সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বৈধপথে চালানটি খালাসের কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেননি। গোপনে চালানটি বন্দর থেকে বের করে নেয়ার ইঙ্গিত পেয়ে তা আটক করে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম ইনকিলাবকে বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় আনা চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা চলছে। ২০ ফুট দীর্ঘ দুইটি এবং ৪০ ফুট দীর্ঘ একটি কন্টেইনারে এসব মালামাল আনা হয়। ইতিমধ্যে ২০ ফুটের দুইটি কন্টেইনারের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ দুটিতে সাবান জাতীয় পণ্য বেশি। বাকি কন্টেইনারে শ্যাম্পু জাতীয় পণ্য বেশি। সাবানের সাবসিডিয়ারি ডিউটি (এসডি) এবং ভ্যালু কম। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে এ দুটো বেশি। সব মিলে আনুমানিক আড়াই কোটি টাকা শুল্কফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে এ চালানে। কায়িক পরীক্ষা পুরোপুরি শেষ হলে মোট কত টাকা শুল্কফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল তা জানা যাবে।
কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, কৃষি উপকরণ লাঙ্গলের ঘোষণা দিয়ে কসমেটিকস আনায় একদিকে কৃষি সরঞ্জাম থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছেন। অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত প্রসাধন সামগ্রী মিথ্যা ঘোষণায় আনা এসব পণ্যের কাছে মার খাচ্ছে। কারণ দেশে পর্যাপ্ত প্রসাধন সামগ্রী উৎপাদন হয় এবং বিদেশেও রফতানি হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন