ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা
ঢাকার ধামরাইয়ে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোসাদ্দেকুল ইসলাম চৌধুরীকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে ও তার কক্ষের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অধ্যক্ষের নিয়োগ অবৈধ, স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এর আগেও ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত কয়েকজন সদস্য তার বহিষ্কার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এছাড়াও অধ্যক্ষের নিয়োগবিধি সম্মত না হওয়ায় তার বেতন-ভাতাও বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। গতকাল সোমবার পর্যন্ত অধ্যক্ষ তার বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারেননি। জানা গেছে, অধ্যক্ষের নিয়োগ বর্তমানে সরকারি নিয়মানুসারে হয়নি বলে তার বেতন-ভাতার চেকে স্বাক্ষর না করে তা বন্ধ করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে শিক্ষার মান নষ্ট, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। বিষয়টি জানতে পেরে গত শনিবারসহ কয়েক দিন ধরে ওই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ সাহেবের নিয়োগ প্রক্রিয়া বর্তমানে বিধিসম্মত নয় বলে তার বেতন-ভাতার চেকবহিতে স্বাক্ষর করিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন