গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভার কোটি টাকার দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। তারা অনতি বিলম্বে কাজটি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ভবনের পূর্বপাশের পুকুরে পিসিসি বøক এবং ফুটপাত নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষে তৃত্বীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় ৮২ লাখ ৯২ হাজার ৯শ’ টাকা ব্যয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প হাতে নেয় পৌরসভা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এলজিইডি প্রায় ৪০ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করেন। এরইমধ্যে অদৃশ্য একটি শক্তির অভিযোগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কাজটি বন্ধ করে দেন ঠিকাদার এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পৌরসভায় বসবাসরত সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোতাহার
হোসেন সরদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুকুরটা সংস্কার করে ফুটপাত প্রশস্ত করা হলে উপজেলায় আগত হাজার, হাজার দর্শনার্থীরা এসে পুকুরের পারে একটু বসতে পারবে, এতে পুকুরেরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি হবে এবং এলাকাবাসীর শরীর চর্চা ও চলাচলের পথ সুগম হবে। এ ধরনের উন্নয়ন কাজে যারা বিরোধীতা করছে তারা কখনোই সরকারের ভালো চায় না। আমি তাদের ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করি।
আ.লীগ নেতা মিজানুর রহমান বুলবুল বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে বাধাগ্রস্থ করে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন, তারা উন্নয়ন চায়না, আমরা পুকুরটি সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতি ফজলুর রহমান দিপু বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে আ.লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধীতা ও দলের মধ্যে বিভেধ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।
আমি পৌর সভার এই দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের কাজটি দ্রæত বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র পৌরসভা ও সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধিতা করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। আমি পৌরসভার হাতে নেয়া এই দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পটি দ্রæত বাস্তবায়ন করে পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে সাবেক উপজেলা পরিষদ ভবনের পূর্বপাশের পুকুরে পিসিসি বøক এবং ফুটপাত নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধন দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হওয়ার কারণ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লেলিন টেডার্সের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পৌরসভার মাধ্যমে সরকার পুকুরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষে দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পটি হাতে নিয়ে প্রায় ৪০ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করেছে এর মধ্যে একটি অদৃশ্য শক্তির বিরোধীতার কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। বর্তমানে কাজটি বন্ধ থাকায় প্রকল্পে ব্যবহৃত যে মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে এবং শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে তাতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাজটি দ্রæত সম্পন্ন করতে পারলে হয়তো কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা যেত।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র হাজি মো. কামাল হোসেন শেখ বলেন, আমি সব সময়ই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মানুষের কল্যানে নিরলশভাবে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র তারা আমার উন্নয়নের ধারা ব্যহত করতে বিভিন্ন স্থানে নালিশ করে ও সরকারের উন্নয়ন কাজের বিরোধীতা করে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। তিনি আরো বলেন, পুকুরটা সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন এই প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করা হলে পুকুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।