নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের মহেশকুড়া আশ্রয়ন প্রকল্পে গত সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ১০টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১নং ব্লকের জসিম উদ্দিন, আবুল মুনসুর, আব্দুস ছাত্তার, মিলন মিয়া, আলমগীর হোসেন, আহাদ আলী, আমেনা খাতুন, শাহজাহান মিয়া, মুনসুর আলী ও আব্দুল জব্বারের বসতঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি। অগ্নিকা-ের খবর পাওয়ার সাথে সাথে নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামিম আল ইয়ামীন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম সিরাজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল, ডাল, লবণ, মুড়ি, চিরা, ম্যাচ ও চিনি বিতরণ করেছেন।
ধর্ষণের ঘটনায় মামলা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিবেশী লম্পটের হাতে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ ধর্ষিতাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাঝিয়াকান্দি গ্রামে। জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট রাতে নিজ বাড়ির টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি আনতে গেলে একই গ্রামের প্রতিবেশী লম্পট শামসুদ্দিনের পুত্র রফিকুল ইসলাম ওই স্কুলছাত্রীকে ধরে নিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা বাইদগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ বৈঠকে ধর্ষককে ৫০ ঘা বেত্রাঘাত ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক রফিকুল ইসলামকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন