রংপুর চিনিকলে উৎপাদিত ২০ কোটি টাকার আখ অন্য চিনিকলে সরবরাহ করা হবে না বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা। উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলসহ রাষ্ট্রায়াত্ত ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত অব্যাহত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন। গতকাল সোমবার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকল প্রধান ফটকের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা।
সকাল ৯টা থেকে মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আখচাষি ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। সমাবেশে আখচাষি সমিতির সভাপতি জিন্নাত আলী প্রধান বলেন, রংপুর চিনিকলের চেয়ে অনেক কর্ম ক্ষমতা সম্পন্ন জয়পুরহাট চিনিকল তাদের নিজেদের উৎপাদিত ৩২ হাজার মেট্রিক টন আখ সময়মতো মাড়াই করার সক্ষমতা রখে না। সেখানে রংপুর চিনিকলের উৎপাদিত ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ কিভাবে মাড়াই হবে? এ সিদ্ধান্ত থেকে সংস্থা সরে না এলে রংপুর চিনিকলের সকল আখ জমিতেই শুকিয়ে যাবে। শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল তার বক্তব্যে বলেন, এ চিনিকলের কোনো শ্রমিক-কর্মচারী অন্য চিনিকলের জন্য আখক্রয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে না। রংপুর চিনিকলের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চিনিকল আখচাষি সমিতির সভাপতি জিন্নাত আলী প্রধান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ফটু প্রমুখ।