শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কাজিপুরের হাতুড়ে চিকিৎসকদের কবলে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে শত শত মানুষ

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জায়গায় বসেই রোগ নির্ণয় ও ওষুধ তৈরি
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা

কালিগঞ্জে হাতুড়ে ডাক্তারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এসব ডাক্তার রোগীকে দেখেই বলে দিতে পারেন রোগের নাম। ছড়ার মতো বলতে থাকেন একের পর এক রোগের নাম। ফুটপাতে বসে কোনো ডাক্তারি যন্ত্রপাতি ছাড়াই এই অদ্ভুত নিয়মে রোগী দেখছেন এসব ডাক্তার। চিকিৎসার জন্য দেয়া হয় সকল রোগের ওষুধ। পেটে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, অর্শ, আমাশয়, পাইলস, মহিলাদের নানা রকমের জটিল রোগসহ যৌন রোগের ওষুধ পর্যন্ত দেয়া হয়। এখানে শেষ নয়, মরণঘাতী ক্যান্সার থেকে শুরু করে লিভার, কিডনির ওষুধ পর্যন্ত বিক্রি করেন এসব ডাক্তাররা। আর এসব রোগের ওষুধ বিক্রি করেন রাস্তার পাশে হাটবাজারের পাশে বা ফুটপাতে। তাদের কোনো সনদপত্র স্থায়ী চেম্বার এমনকি স্থায়ী ঠিকানা পর্যন্ত নেই। এই চিকিৎসকরা ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বোতলে ভরা হাজার ধরনের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল বয়ে নিয়ে আসেন। জায়গায় বসেই রোগ নির্ণয় আর মিনিটের মধ্যেই ওষুধ তৈরি করে চড়ামূল্যে সেগুলো রোগীদের দিয়ে থাকেন। কালিগঞ্জে তারা গ্রামগঞ্জের সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করে বিক্রি করছেন সর্বরোগের মহৌষধ। শুধু প্রতারিতই নয়, সাধারণ মানুষ চরম স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। সরেজমিনে কালিগঞ্জের নলতা হাটখোলায় দেখা গেছে, দিনাজপুর জেলার আক্কাজপুর গ্রামের বিশিষ্ট হারবাল চিকিৎসক পরিচয়ধারী লিয়াকত আলী জানান, মুখ দেখেই তিনি বলে দেন রোগীদের জটিল সব রোগের নাম এবং দিয়ে থাকেন সর্ব রোগের মহৌষধ। মিনিট খানেকের মধ্যেই শিশিতে (কাচের বোতল) পুরনো কয়েক ধরনের গাছের বাকল, কিছু চূর্ণ, কালিজিরা আর মধুর সঙ্গে অজানা বস্তু দিয়ে তৈরি করে ফেলেন মহৌষধ। বোতলের সব কাঁচামাল সামগ্রী পুরনো আঁশতে গন্ধযুক্ত হলেও তিনি এটি মহাউপকারী ও একদম নতুন বলে দাবি করেন। এভাবেই উপজেলা জুড়ে এসব চিকিৎসকের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছন শত শত নিরীহ সাধারণ মানুষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন