শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ী ও বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান। তিনি বলেন, শীতে যেন কোনো মানুষ মারা না যায় সেজন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাব। পাশাপাশি এ জন্য সবার সহযোগিতাও চাই।
জাফরুল্লাহ বলেন, ব্যবসায়ী স¤প্রদায়ের কাছে আহবান, তারা যেন অসহায় শীতার্তদের সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং দুই-একজন ব্যবসায়ী এসব কম্বল দেওয়ার জন্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল পল্লীসহ উত্তরবঙ্গে আমরা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশে শীতের প্রবাহ বাড়ছে, তাপমাত্রা কোন কোন স্থানে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। আমাদের এ কম্বলগুলো বড় করে তৈরি করা হয়েছে। একটা কম্বলে পরিবারের কয়েকজন থাকতে পারবেন। এসব কম্বল আবার তৈরিও করেছেন গরিব মানুষেরাই। গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং দুই-একজন ব্যবসায়ী এসব কম্বল দেওয়ার জন্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
ভারতের শৈত্য প্রবাহের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে শীত প্রবাহে ৩৭ জন কৃষক মারা গেছেন। ভারত সরকার আমাদের অনুমোদন দিলে ভারতের কৃষকদের জন্য আমরা দুই হাজার কম্বল পাঠাতাম। ভারতের মোদী সরকার তার দেশের জনগণকে অবহেলা করছে। আমাদের সারা পৃথিবীর বিষয়টা স্মরণ রাখতে হবে। তারপরও আমাদের দেশ ও মানুষ প্রথম বিবেচ্য বিষয়। তাই দেশের দরিদ্র মানুষদের সহযোগিতার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই মিলে এ দুর্দশা অতিক্রম করতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজ আমরা একটা বিশেষ ধরনের সহযোগিতা করছি মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেমদের। ওনারা ওয়াজ মাহফিল করে সবার কথা বলেন, কিন্তু নিজেদের জন্য লজ্জায় চাইতে পারেন না। রূপনগর ও আশুলিয়া বেড়িবাঁধ অঞ্চলের ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেমদের পরিবারের জন্য আমরা একটি করে কম্বল দিচ্ছি।
ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অকারণে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করবেন না। দরিদ্র মানুষের মুক্তি ও সাহায্যের জন্য খোদার কাছে দোয়া করেন। শীতে যেন কোনো মানুষ না মারা যান, সেজন্য আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব। পাশাপাশি আমরা সবার সহযোগিতাও চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন