মো. আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ ২ মাস থেকে বন্ধ হয়ে আছে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটির কারণে। কয়েক দফায় খুঁটি অপসারণের জন্য পত্র দিয়েও এখনও স্থানান্তর করা হয়নি বিদ্যুতের খুঁটিটি। সময়মতো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নির্মাণ বরাদ্দের অর্থ ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে পল্লীবিদ্যুত সমিতি-২ কে খুঁটি স্থানান্তরের খরচের টাকা অগ্রীম জমা না দেয়া পর্যন্ত এ খুঁটি অপসারণ করা সম্ভব নয় বলে জানা যায়। ফলে ভূমি অফিসটি নির্মাণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত সোমবার উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কুশলপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের নির্মাণকাজ অর্ধেক হয়েছে কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ লাইনের একটি খুঁটি ভবনের মাঝে রয়েছে, যার ফলে ভবনটির ছাদ ঢালাই করতে পারছে না ঠিকাদার। নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স আনারুল হক এর ম্যানেজার নুরুল ইসলাম জানায়, চলতি সনের মে মাসে বিদ্যুতের খুঁটিটি স্থানান্তর করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুরকে অভিহিত করা হয়েছে। তারা কয়েকবার দিনাজপুর পল্লীবিদ্যুত সমিতি-২ কে খুঁটিটি স্থানান্তরের জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের খুঁটিটি স্থানান্তর না করায় ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। দৌলতপুর ইউনিয়ন ভূমি-সহকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫-১৬অর্থ বছরে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ভবনটির মাঝে থাকা দিনাজপুর পল্লীবিদ্যুত সমিতি-২ এর বিদ্যুতের খুঁটিটি স্থানান্তর করার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ কারণে গত ১৬-০৬-২০১৬ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিদ্যুতের খুঁটিটি স্থানান্তর করার অনুরোধ জানিয়ে দিনাজপুর পল্লীবিদ্যুত সমিতি-২কে পত্র দেয়া হয়। যার স্মারক নং- ৫৯/১৬-০৬-২০১৬, কিন্তু অদ্যাবদি এই খুঁটিটি স্থানান্তর করা হয়নি। ফলে এখন ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে না পাওয়া গেলে কথা হয় ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদের সাথে। তিনি বলেন, গত ১৬-০৮-২০১৬ তারিখে বিদ্যুতের খুঁটিটি স্থানান্তরের খরচ বাবদ ৮হাজার ৮৬৬ টাকা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি পত্র দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একটি পত্র গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দেয়া হয়েছে। ওই টাকা জমা দিলেই বিদ্যুতের খুঁটিটি স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে যদি নির্মাণের বরাদ্দ ফেরত যায় তখন কি হবে? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজী হননি। এদিকে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন, দৌলতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিজস্ব ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি ঘরে কোন রকম ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উভয়রই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ জন্য তিনি বিষয়টি ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন