বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, আত্মরক্ষার্থেই সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এর পেছনে রয়েছে অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং অনুপ্রবেশ। রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আমরা বাংলাদেশিদের উদ্বেগের বিষয়ে অবগত। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, ভারতের কেউ এ ধরনের একটি মৃত্যুও চায় না। আমরা শান্তিপূর্ণ সীমান্ত চাই। এ লক্ষ্যেই সীমান্তে বৈধ বাণিজ্য বাড়াতে সীমান্ত হাটসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একজনও হতাহত হোক সেটি আমরা চাই না। আমরা সবচেয়ে নিকটের প্রতিবেশি, আমরা কেন আপনাদের অনুভ‚তিতে আঘাত দেব? আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এ ধরনের ঘটনা কেবল আত্মরক্ষার্থে ঘটছে। তারা সীমান্তের এপারে (বাংলাদেশ) কখনো গুলি করে না। দুই পাশেই একই মানুষ, সীমান্তে কে কোন দেশি তা পৃথক করা কঠিন।
সমস্যা হলো, সীমান্তে দুর্ঘটনার ৮৭ শতাংশ হয় রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে। আর ৯০ শতাংশ আমাদের সাইডে (ভারতে)। এটি এমন নয় যে কেবল বাংলাদেশরাই দুঃখজনকভাবে আহত হচ্ছে। বিএসএফসহ বহু ভারতীয়ও কিন্তু আহত হচ্ছে। দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের পারস্পরিক গোয়েন্দা সহযোগিতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, পাশাপাশি দুই সীমান্তে অপরাধ কমাতে আরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন দরকার। আমাদের জায়গা থেকে আমাদের পেট্রোল টিমে সাধারণত চারজনের বেশি থাকে না। একজনের বেশি কেউ অস্ত্র বহন করে না এবং এটি কেবল আত্মনিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও সিনিয়র সহসভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা বক্তব্য রাখেন। এ সময় চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের কার্যালয়ের দ্বিতীয় সচিব শুভাশীষ সিনহাও উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন