পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে যুবদলের কর্মী সভায় উস্কানী মূলক বক্তব্য এবং শতবর্ষ পালনে ক্ষণ গণনার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুরের প্রতিবাদে যুবদলের কর্মি সভায় হামলা চালিয়ে ওই সভা পন্ড করে দিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মিরা। এতে গত সংসদ নির্বাচনে চার দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন দুলালসহ অন্তঃত ১৫ জন ও যুবলীগ- ছাত্রলীগের ৬ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত রুহুল আমীন দুলাল, যুবদল নেতা জসিম ফরাজি ও ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক রিয়াজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় সাংবাদিকের মটর সাইকেলসহ ৮/১০ টি সাইকেল ভাংচূর করা হয়। এ ঘটনায় পৌর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন দুলাল জানান, দুপুরে তার বাসার সামনে যুবদলের শান্তিপূর্ণ কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানস্থলে পৌছার আগেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তিনিসহ জেলা বিএনপির বিশেষ সম্পাদক কেএম হুমায়ূন, যুবদলের আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ, যুবদল নেতা জসিম ফরাজি, মামুন বিল্লাহ, রিপন মুন্সী, জাহাঙ্গীর বাদল, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ, ছাত্রদল নেতা ইমরান, সোহেল, হাসান, আলাউদ্দিন, রুবেল, মিলন আহত হয় বলে রুহুল আমিন দুলাল জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ‘লীগ সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, যুবদলের কর্মী সভায় মাইক বাজিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, আ‘লীগ ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে উস্কানী মূলক বক্তব্য দেয়। এসময় যুবলীগ কর্মিরা প্রতিবাদ করলে যুবদল ও ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলা, উপজেলা পরিষদে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও সাংবাদিকের মটর সাইকেলসহ ৮/১০ টি সাইকেল ভাংচূর করে। এসময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬ জন নেতা কর্মি আহত হয়। আহতরা হলো- স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মামুন, আমিনুল, ছাত্রলীগ নেতা জিদান, আজাদুল, মুইন, ইরান মৃধা।
এদিকে, বিকেলে উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমাদুল হক খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জালাল, আরিফ উল-হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত প্রমুখ।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, শহরে যে কোন সহিংষতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, শহরের পরিস্থিতি শান্ত। কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন