কলাপাডার নীলগঞ্জ ইউনিযনের পূর্ব গৈযাতলা গ্রামের ৪৬নং পোল্ডারের সুইস গেট থেকে প্রচুর পরিমান লবণ পানি প্রবেশ করে বোরো মৌসুমের চাষকৃত নীলগঞ্জ ইউনিযনের হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি পতিত হওযার শংকায় চিন্তিত কৃষকরা। বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নীলগঞ্জ ইউনিযন শাখার সদস্যরা সুইস গেটের কাছে মিলিত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান। কৃষকরা দাবি করেন, কপাটগুলো যাতে লোহার লাগানো হয় এবং কতিপয় সার্থান্বাশী মাছ শিকারী যাতে লবন পানি ওঠাতে না পারে সেই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে কৃষকের সার্থ রক্ষার জন্য ব্যাবস্থা নেয়ার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
এ সময় কৃষকরা আরো বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিযনের কোন সুইজের দরজা ঠিক নেই, প্রতিটি সুইজ থেকেই লবণ পানি প্রবেশ করে বোরো মৌসুমসহ আমন মৌসুমে ফসলি জমি ধ্বংস হওযার ব্যাপক শঙ্কা রয়েছে। পূর্ব গইয়াতলা সুইজের দরজা না থাকার কারণে লবন পানি ঠেকাতে কৃষকরা নিজেদের অর্থায়নে কাঠের পাটাতন দিয়ে দরজা নির্মাণ করেন। কিন্তু কতিপয় মাছ শিকারি রাতের আধারে কাঠের পাটাতন সরিয়ে লবন পানি উঠিয়ে মাছ শিকার করে। এর ফলে কৃষকদের বোরো চাষ করতে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সুইচ কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান শিকদার অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় আলাউদ্দিন শিকদার, কুদ্দুস গাজী, দেলোয়ার গাজীরা মিলে এই সুইস গেটে মাছ ধরে এবং লবন পানি উঠিয়ে কৃষক দের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের কাছে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি কৃষকের পক্ষে, কৃষকের ক্ষতি হয় এমন কাজে আমি সম্পৃক্ত নই, সুইস উম্মুক্ত থাকবে এ ব্যাপারে আমি কৃষককে সকল প্রকার সহযোগিতা করবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী খান মো. উলিউজ্জামান বলেন, প্রতি বছর সুইস সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ চেয়েও বরাদ্ধ পাওয়া যায় না। বরাদ্ধ এলে দ্রুত সুইস সংস্কার করা হবে এবং শীঘ্রই সুইস গেটগুলো পরিদর্শন করে কোন ধরনের সহযোগিতা করা সম্ভব হলে তা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন