বান্দরবানের লামায় অত্যাধুনিক সাজে সজ্জিত লামা পৌরসভা কার্যালয়। ২০০১ সালে শুরু হয় এই পৌরসভার শুভ যাত্রা। ১ম ও ২য় সেশন ছিল ৩য় শ্রেণির পৌরসভা। বর্তমানে ইহা ২য় শ্রেণিতে উন্নিত। প্রথম মেয়র ছিলেন প্রয়াত মোঃ ইসমাইল। দ্বিতীয় মেয়র ছিলেন মোঃআমির আমু। তৃতীয় মেয়র ছিলেন বর্তমান সরকার দলীয় মোঃ জহিরুল ইসলাম। মোঃ জহিরুল ইসলাম ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং সালে লামা পৌরসভার মেয়র হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি বিগত ৫ বছর তার পৌরসভায় যেসব কর্মকান্ড করেছেন তার একটি শ্বেতপত্র তৈরি করেছেন।
গত ১৭/১২/২০২০ইং কুটুমবাড়ী রেষ্টুরেন্টের ২য় তলায় লামার স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে নিয়ে তিনি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে পৌরসভার উন্নয়নের শ্বতপত্রটি প্রকাশ করেন। মেয়র জহিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া অর্থ থেকে লামা পৌর এলাকায় ৪৩ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন করেছেন। অপরদিকে ৫৬৭ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার উন্নয়নের কাজ চলমান এবং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে মেয়র জহিরুল ইসলামের আমলে লামা বাজারের অলি গলি সব কার্পেটিং হয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকার বাস্তাঘাট প্রায়ই পাকা হয়েছে।কিন্তু পরিতাপের বিষয় এত সুন্দর পৌর কার্যালয়ের একেবারেই সামনে মেয়র মহোদয় কার্যালয় থেকে বাহির হলেই তাঁর চোখের সামনে পড়ে যে রাস্তাটি তাহা পাকা হয়নি।যেখানে ঝিরির উপরে একটি ভাঙ্গা ব্রিজ রয়েছে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন ১৫/২০টি পরিবারের ছেলেমেয়রা স্কুল,মাদ্রাসা ও কলেজে আসা-যাওয়া করছে এবং করিতেছে। এছাড়া এই ব্রিজ ও রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত লোকজন চলাফেরা করছে এবং করিতেছে। জানাগেছে ঝিরির পূর্ব পাড়ের ১৫/২০ টি পরিবারের সকলেই আক্ষেপ করে বলছে, বিগত ৩ জন মেয়র গত হয়ে গেল কিন্তু আমাদের ব্রিজ ও রাস্তাটি হলোনা। এলাকাবাসী জানায় বর্ষাকালে এই ব্রিজ ও রাস্তা বন্যায় প্লাবিত হয়। তখন আর চলাফেরা করা যায়না। ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এদিকে বর্তমান সরকার দলীয় নৌকা প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইলাম বলেছেন তিনি চতুর্থ পৌরসভা মেয়র নির্বাচিত হলে, পৌর এলাকার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পাদন করবেন। এছাড়া তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন,এবং নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার জন্য অনুরুধ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন