শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সোনামসজিদ স্থল বন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় গত জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে প্রায় ৪১ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান টানু জানান, সোনামসজিদ স্থল বন্দরে কাস্টমস ও অন্যান্য সংস্থার রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকা স্বতেও গত জানুয়ারি মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৬ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার টাকা। স্থল বন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস সহকারী কমিশনার ফখরুল আমিন চৌধুরী জানান, অন্যান্য বন্দরেও সরকারের নিয়ম-নীতি মোতাবেক রাজস্ব আদায় করার ফলে সোনামসজিদ স্থল বন্দরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে কাস্টমস বিভাগ সরকারি বিধি-বিধান মোতাবেক রাজস্ব আদায় করে থাকে। তিনি আরও জানান, এ বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করে থাকে। ভারত থেকে যে সমস্ত ফল রপ্তানি হয় ওই সব ফল ভর্তি গাড়িগুলো মালদাহ হয়ে হিলি, বুড়িমারী ও ভ্রমরা বন্দরের দূরত্ব বেশি হওয়ায় ভারতের মহদিপুর স্থল বন্দর দিয়ে সোনামসজিদ স্থল বন্দরে পণ্য বেশি আসছে। মালদাহ থেকে বুড়িমারী বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৩০০ কিলোমিটার হিলি বন্দর দেড়শ’ কিলোমিটার ও ভ্রমরা বন্দর প্রায় ৭৫ কিলোমিটার কিন্তু সোনামসজিদ থেকে ভারতের মালদার দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। মহদিপুর স্থল বন্দর ছাড়া অন্যান্য বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করলে দশ গুণ বেশি পরিবহণ ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু মালদাহ থেকে মহদিপুর বন্দর দূরত্ব নিকটতম হওয়ায় পরিবহণ ভাড়া অত্যন্ত কম। যে কারণে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে কাঁচা পণ্য ভর্তি ট্রাক বেশি এসে থাকে। রাজস্ব সিংহভাগ এসে থাকে আমদানিকৃত ফল থেকে। কাস্টমস কমিশনার আরও জানান, গত নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৪৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বেশি হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭৮ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। ডিসেম্বর মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭১ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বেশি হয়েছিল। কাস্টমস দপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বেশি হয়েছে। জানা গেছে, গত সাত মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৪৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮৭ কোটি টাকা। বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিক বছরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্দরের বাণিজিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন গুলির সমন্বয় থাকলে সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বেশি হবে এবং রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে সোনামসজিদ স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন