শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

জমি হারাচ্ছে উর্বরা শক্তি অন্য ফসল উৎপাদনে লোকসান বাড়ছে

রাজবাড়ীতে বিষবৃক্ষ তামাক আবাদে ঝুঁকছে কৃষক

প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে বিষবৃক্ষ তামাকের ব্যাপক চাষাবাদে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছে কৃষক। প্রতিবছর একই জমিতে তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরা শক্তি হৃাস পাচ্ছে। এতে অন্য ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষি বিভাগ তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। জানা গেছে, উপজেলার সবচেয়ে বেশি তামাক চাষ হয় জঙ্গল ও বহরপুর ইউনিয়নে। জঙ্গল ইউনিয়নের ঢোলজানী, অভয়নগর, মহারাজপুর, শুকনা, পারুলিয়া, নতুন ঘুরঘুরিয়া, ঘুরঘুরিয়া, সাধুখালী, সমাধিনগর, বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ভীমনগর, চৈতে ভীমনগর, পাইককান্দি, বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর, আড়কান্দি, বংকুর, নতুনচরসহ অনেক গ্রামের কৃষকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় তামাক চাষে ঝুঁকে পড়ছে। তামাক চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ ও সার, বীজ সরবরাহসহ নানা ধরনের লোভনীয় অফার দিয়ে চাষে আনছে তামাক কোম্পানিগুলো। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলাতে এ মৌসুমে ২শ’ ৫০একর জমিতে তামাকের চাষ হয়েছে। কোম্পানিগুলো তাদেরকে তামাক চাষ করতে নানা রকম উপকরণ সার, বীজ সরবরাহ করেছে। ক্ষেত থেকে তামাক সংগ্রহ করে আনার পর কোম্পানিগুলোতে সরবরাহ করতে তেমন কোন বেগ পেতে হয় না। নানা রকম সুযোগ-সুবিধা ও ভালো ফলন হওয়ার কারণে কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছে তামাক চাষে। তবে জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পায় সে বিষয়ে জানলেও অধিক মুনাফা লাভের ফলে কেউ চাষ ছাড়ছে না। উপজেলাতে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিও সমন্বিত প্রমিলা মুক্তি প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক মো. মোকাররম হোসেন জানান, তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে তামাক চাষ প্রবণ এলাকার কৃষকদেরকে উঠান বৈঠক, তামাক চাষের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাপক প্রচারণার ফলে অনেকে তামাক চাষ ছেড়ে দিচ্ছে। প্রশাসন তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে আইন করলে দ্রুত বিষবৃক্ষ তামাক চাষ থেকে কৃষকদের মুক্তি দেয়া সম্ভব। তবে তামাক চাষিদের সার ও কীটনাশক সরবরাহ বন্ধের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নুরুল হক জানান, তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে কৃষক প্রশিক্ষণ সহ স্ব স্ব এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তামাক কোম্পানিগুলোর এজেন্টেদের অপতৎপরতার ফলে কৃষকরা তামাক চাষ করে। তবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে অধিক পরিমাণ কম জমিতে তামাকের চাষ হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন