জয়পুরহাটের কালাইয়ের কৃষকরা এখন আলুতেই আগামী দিনের স্বপ্ন বুনছেন। তাই বাম্পার ফলনের আশায় এখন তারা আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকদের আশা, সরকার ধানের মতো আলুও কিনবেন ভালো দামে। এজন্য এখন থেকেই বিদেশে আলু রফতানিতে উদ্যোগ নিতে কৃষিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ছালজারুল ইসলাম জানান, সমগ্র উপজেলায় এবার আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ১০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষে কৃষকরা এবার উন্নত জাতের- এ্যারিস্ট্রিক, কার্ডিনাল, ডায়ামন্ড, লরা, ক্যারেজ আলু এবং দেশি জাতের- পাকরি, পাহারি পাকরি, বট পাকরি, তেল পাকরি, ফাটা পাকরি, রোমানা ও জাম আলু এবং আগাম জাতের- মিইজিকা, গ্রানোলা, ফ্রেসসহ অন্যান্য জাতের আলু চাষ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার আহম্মেদাবাদ, মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট ও জিন্দারপুর ইউনিয়নের কৃষকরা এখন আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা কোদাল দিয়ে আলু নিড়ানি দিচ্ছে এবং বাঁধাই করছেন। কেউ কেউ রোগ প্রতিরোধের জন্য ছত্রাকনাশক, ভিটামিন, সার ও নানা অনুখাদ্য উপরি প্রয়োগ করছেন।
উপজেলার খোসালপুর নওপাড়ার কৃষক তাজুল ইসলাম, থুপসাড়ার আব্দুল মোমিন, হাজীপাড়ার মোশাররফ, বালাইটের আব্দুল বাসেদসহ অনেকে জানান, ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবার তারা আলু চাষ করেছেন। সেই স্বপ্ন বুকে নিয়েই তারা আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের দাবি, কৃষকদের স্বার্থে সরকার আলুর ভালো দাম নিশ্চিত করবেন। এজন্য সংশ্লিষ্টরা বিদেশ থেকে আলু আমদানি বন্ধ করবেন এবং বিদেশে আলু রফতানির জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নিবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান জানান, আলুর বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সাথে নিয়মিত ব্যাক্তিগত যোগাযোগ, উঠান বৈঠক ও মাঠ সভা অব্যাহত রেখেছে। কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নীলিমা জাহান জানান, কৃষকদের সচেতনতা বাড়াতে পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মতো আলুর পরিচর্যা করলে এবং আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুক‚লে থাকলে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন