কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় একটানা ৬ ঘণ্টার ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ মৎস্য ঘের, হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি, ঝরে ১০টি দোকানপাটসহ ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। এ সকল মানুষ এখন সহায়সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত রোববার ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়ে একটানা অবিরাম ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ হয়। সেইসাথে অত্র উপজেলার নি¤œ এলাকা ও বিভিন্ন খাল-বিল স্লুইস গেট দিয়ে ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি। চারদিকে যে পানি প্রবাহিত হয়েছে তাতে সংযুক্ত বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ২ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয় ফলে গোটা এলাকা ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ততথ্য ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানি ঢুকে কান্দি ইউনিয়নের অনিতা মেম্বার, সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের নৈয়ারবাড়ি গ্রামের সবুজ মধু, অসীম হালদার, বিমল মধু, রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের পিত্তলপাড়া গ্রামের গঙ্গাচরণ ঘোষ, সোনাবান বেগম, গৌরাঙ্গ মনোরঞ্জন পান্ডে, আমতলী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের রেয়াজুল তাজের বাড়ি ডুবে গেছে। এদিকে নৈয়ারবাড়ি সার্বজনীন গনেশ পাগল মন্দির ৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও নিউটন বাড়ৈ, বিশ্ব হালদার, পঙ্কজ রায়, কার্তিক বাড়ৈ, প্রশান্ত বৈদ্য, গুরুদাস বাড়ৈ, নরেন বাড়ৈ, মেডিসিন ও খাবারের রেস্তোরাঁসহ ১০টি দোকান-ঘর ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। এছাড়াও গাছপালা ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হয়। অপরদিকে ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে লক্ষ লক্ষ মৎস্য চাষির মাছের ঘের তলিয়ে যায়। ঝড়ে পিড়ার বাড়ি অনিল হালদার নামে একটি ব্যক্তি বজ্রপাতে ও মৎস্য ঘের ভেসে যাওয়ায় কান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ধীরেন্দ্রনাথ মধুর ভাই কৃষ্ণকান্ত মধু শোকে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন