ভ‚মিহীন শিক্ষক আব্দুর রহিম। স্বল্প বেতনে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। স্ত্রী ও ৬ মেয়ে নিয়ে লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প‚র্ব মাইজবিলায় সরকারি পাহাড়ে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ছোট্ট টিনের ঘরে বসবাস করছিলেন। স¤প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী পাহাড় খেকো গোষ্ঠী কর্তৃক পাহাড়টির অধিকাংশ মাটি কেটে নিয়ে যায়। ফলে তার ঘরটি ভেঙে যায় যায় অবস্থা। তাই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হতে বাধ্য হয় এই অসহায় ভ‚মিহীন পরিবারটি। সরেজমিনে গিয়ে এরকম অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যায় এই চিহ্নিত পাহাড় খেকো চক্রটির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় যুবলীগ নেতা খানে আলমের নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে উঠেছে ১০/১২ জনের পাহাড় কাটার সিন্ডিকেট। এ পর্যন্ত চরম্বা ইউনিয়নের ৩০টিরও অধিক পাহাড় ও টিলা কাটার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। পরিবেশ অধিদফতরসহ স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এসব পাহাড় ও টিলা কাটা হচ্ছে। এসব মাটি যাচ্ছে ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২১টি ইটভাটা ও জায়গা ভরাটের কাজে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা খানে আলম জানান, আমার মাটি বা পাহাড় কাটার কোনো সিন্ডিকেট নেই। আমার প্রতিপক্ষ একটি গোষ্ঠী আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী ভ‚মি কমিশনার নিলুফার ইয়াসমিন জানান, পাহাড়কাটা বন্ধে চরম্বা ইউনিয়নে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও প্রশাসনের গতিবিধি তারা আগে থেকে জেনে যাওয়ায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চক্রটিকে হাতেনাতে ধরতে ভিন্নভিন্ন কৌশলে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন