শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গফরগাঁও-ভালুকা ও ময়মনসিংহ-গফরগাঁও কেবি প্রধান সড়ক নিম্নমানের কাজে সড়কে গর্ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান

প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে

ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন গফরগাঁও-ভালুকা ২১ কি. মি. সড়ক, গফরগাঁও-পাগলা ১৫ কি.মি., গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক ১২ কি.মি. ও গফরগাঁও-ময়মনসিংহ ৪০ কি.মি. কেবি সড়ক বর্তমান বেহাল অবস্থায় রয়েছে। গফরগাঁও-ময়মনসিংহ ব্রক্ষপুত্র নদীর পার্শ্বে খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেন সড়কটির অবস্থা বর্তমানে এমন হয়েছে যে, সুস্থ লোক সিএনজি বা যে কোনো যানবাহনে চলাচল করলে তার রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ে যাওয়ার স¤া¢বনা বেশি। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন একদম চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় গত কয়েক মাস ধরে। ঠিকাদার নিম্নমানের কাজের ফলে সড়কটিতে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। যার ফলে সিএনজিসহ বেশিরভাগ যানবাহন বর্তমানে ত্রিশাল হয়ে গফরগাঁও আসতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত সময় অপচয় হচ্ছে ও অন্যদিকে সকল ধরনের যাত্রীদের যানবাহনে ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। মো. আবুল কালাম নামে একজন যাত্রী জানান, ভাইয়ে দেশের ঠিকাদার ও সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী একযোগে সৎ হলে সড়কের এ করুণ অবস্থা হতো না। মো. আবদুল্লাহ নামের একজন চালক বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার ফলে গাড়িগুলোর মেশিন দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ রাস্তাটি গত কয়েক বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল। ঠিকাদার শুধুমাত্র কোনোরকম ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিস ম্যানেজ করে জোড়াতালি দিয়ে কাজ করে বিল আদায় করে নিয়ে যায়। ভালোভাবে সড়কটি সংস্কার করা হলে কমপক্ষে ৫/৬ বছর ভালো থাকত বলে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী মনে করেন। প্রতিদিন শত শত জনসাধারণ এ সড়ক দিয়ে গফরগাঁও, ত্রিশাল, কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়াসহ আরো অনেক অঞ্চলে অল্পসময়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। অপরদিকে, সড়ক ও জনপথের আওতাধীন গফরগাঁও-পাগলা সড়কের নাজুক অবস্থা দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে সড়কের অবস্থা হয়ে যাচ্ছে নাজুক। এ সড়কটি গত প্রায় ৫ বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল। ঠিকাদার কোনো রকম সংস্কার করার ফলে সড়কটির অবস্থাও বেহাল হয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন দিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদের আগে উল্লিখিত সকল সড়ক জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হলে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা হবে। বাড়ি ফিরতে সময় লাগবে অনেক কম। এছাড়া গফরগাঁও উপজেলা সদরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রতিটি প্রধান সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কটিতে বর্তমানে পুকুরের মতো বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে থাকে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হরেক রকমের যানবাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়াও উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক গফরগাঁও-কলেজ রোডের আলাল মার্কেটের সামনে ও ঈমামবাড়ী ঈদগাহ মাঠ হতে তেঁতুলিয়া নদীর বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সড়কটি এমন অবস্থা হয়েছে যে, তা দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব সড়ক জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। অতি শিগগিরই সড়ক সংস্কার করা না হলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গফরগাঁও হতে হোসেনপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের অবস্থায় আরো নাজুক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষ ইঞ্জিনচালিত যানবাহনে চলাচল করে থাকেন। গফরগাঁও বাজারের চাল ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমান জানান, গফরগাঁও-ভালুকা, গফরগাঁও-পাগলা ও গফরগাঁও-ময়মনসিংহ কেবি সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা দরকার। বিশেষ করে উল্লিখিত দুটি সড়ক খারাপ থাকার ফলে গফরগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীরা মালামাল আনতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে ট্রাক পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহনগুলোতে। ঈদের আগে সড়কগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা দরকার। এছাড়াও গফরগাঁও উপজেলা সদরের আরো অনেক প্রধান সড়কগুলোর অবস্থা খুবই বেহাল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন