শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আবারও মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধে ধস

মাহবুব আলম লাভলু, মতলব (চাঁদপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

আবারও ধসে পড়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ। গত ২৬ ডিসেম্বর ফরাজিকান্দির জনতাবাজারের পাশে দ্বিতীয় বারের মতো বেড়িবাঁধ ধসে পড়তে থাকে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথম একই এলাকায় প্রথম ভাঙন দেখায় দেয়। বর্তমান ধসে পড়ার খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ বালুর বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে ধসে পড়া স্থান মেরামত করে।

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তারা ওই সকালে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। দেখা যায় বেড়িবাঁধটির দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ের অন্তত ১৫০-২০০ ফুট মেঘনায় ধসে পড়েছে। বিষয়টি পাউবো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পাউবোর প্রকৌশলী ও লোকজন ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বালুর বস্তা ফেলে ধসে পড়া স্থানটি মেরামত করেন। এ সময় বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ১৯৮৮ সালে সেচ প্রকল্পের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মূল বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দু’বার এটি ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি নষ্ট হয়।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ কুদ্দস বলেন, প্রকল্পের বেড়িবাঁধটির বিভিন্ন স্থানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা আসলেই বাঁধের ভেতরের মানুষ আতঙ্কে থাকে।

সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, মেঘনার পানির চাপে বেড়িবাঁধটির ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। ধস ও সম্ভাব্য ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বালুর জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। এতে স্থানটি আপাতত ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। পরে স্থায়ীভাবে মেরামত হবে।

অ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে চার শত কোটি বরাদ্ধ প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্পটি সুরক্ষার জন্য দ্রæত টাকা বরাদ্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে বেড়িবাঁধ ভেঙে যেতে পারে।

বেড়িবাঁধ ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে বাঁধের অভ্যন্তরের বাসিন্দারা। বর্ষার আগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো মেরামত করা না হলে বাঁধে ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন