মোহাম্মদ আবদুল গফুর : যে কোনো বিচারে বাংলাদেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ২১৪ বছরের বিভিন্ন পর্বের দিকে তাকালে এটা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, এ সংগ্রামের সকল পর্ব সব সময় একভাবে ঘটেনি। ১৭৫৭ সালের পলাশী বিপর্যয়ের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা-সূর্য অস্ত গেলেও হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েনি। নব্য শাসক ইংরেজদের সাথে যাদের গোপন সমঝোতার কারণে পলাশী বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পেরেছিল, তার মূল হোতা হিসেবে যদিও সিরাজের সিপাহসালার মীর জাফরের নাম ইতিহাসে বহুল পরিচিতি পায়, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে এতে নবাব দরবারের জগৎশেঠ, রাজবল্লভ প্রমুখ অমুসলিম অমাত্যদের ভূমিকাই ছিল প্রধান।
এদেশের রাজনীতি ক্ষেত্রে শত শত বছরের মুসলিম শাসনামলে সাম্প্রদায়িকতা ছিল একটি অজানা বিষয়। এমনকি যে মোঘল স¤্রাট আওরঙ্গজেবকে সর্বাপেক্ষা ইসলামী আদর্শের একনিষ্ঠ অনুসারী মনে করা হয়, তার দরবারেও বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল তবিয়তে অধিষ্ঠিত ছিলেন অনেক হিন্দু অমাত্য। তার ধারাবাহিকতায় নবাব সিরাজদ্দৌলার দরবারেও ছিলেন জগৎশেঠ, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, মোহনলাল, উমিচাঁদ প্রমুখ বহু হিন্দু অমাত্য।
এদেশের রাজনীতিতে প্রথম সাম্প্রদায়িতার বিষবাষ্প আমদানির ‘কৃতিত্ব’ সা¤্রাজ্যবাদী ইংরেজদের। পলাশী বিপর্যয়ের বহু পূর্বেই তারা মুসলিমবিদ্বেষী মারাঠাদের সাথে গোপন যোগাযোগ স্থাপন করে তাদেরকে উপমহাদেশে মুসলিম শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে প্ররোচিত করে। এর পাশাপাশি তারা রাজধানী দিল্লি থেকে বহু দূরে অবস্থিত বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মুসলিম শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে নবাব দরবারের জগৎশেঠ, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ প্রমুখ হিন্দু অমাত্যদের সঙ্গে গোপন আঁতাত স্থাপন করে। তবে উভয়পক্ষ এ ব্যাপারে একমত হয় যে, স্বাধীনচেতা নবাব সিরাজুদৌল্লাকে সরিয়ে কোনো হিন্দুকে নতুন নবাব না করে নবাব দরবারের কোনো দুর্বলচেতা আর ক্ষমতালোভী মুসলমান অমাত্যকে নতুন নবাব করতে হবে। এ ব্যাপারে জগৎ শেঠদের পছন্দ ছিল নবাব দরবারের দুর্বল নেতা ক্ষমতালোভী মুসলিম অমাত্য ইয়ার লুৎফর খানকে। কিন্তু সুচতুর ক্লাইভ তাদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হন যে, সিরাজের বদলে শুধু অন্য কোনো মুসলমান অমাত্যকে নতুন নবাব করলেই চলবে না, তাকে সিরাজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও হতে হবে, যাতে একে বাইরের লোকেরা নবাব পরিবারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মনে করতে পারে। সেই সুবাদেই আসে মীর জাফর আলী খানের নাম।
মীর জাফর তো এ প্রস্তাবের কথা শুনে মহা খুশি। এতদিনে তার জীবনের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। তিনি ক্লাইভের পরামর্শ মোতাবেক যা যা করার, সবকিছু করতে রাজি হয়ে গেলেন। এভাবেই পলাশী বিপর্যয়ের ভিত্তি নির্মিত হয়ে গেল। নাটকের বাকি অংশ অভিনীত হলো ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী ময়দানে। আঁতাত মোতাবেক সিরাজ হত্যার পর নতুন নবাবের সিংহাসনে আসীন হলেন মীর জাফর। তবে অচিরেই তিনি বুঝতে পারলেন, নামকাওয়াস্তে তিনি নবাব হলেও প্রকৃত প্রস্তাবে সকল ক্ষমতা চলে গেছে ইংরেজ ও তাদের সাথে আঁতাতকারী হিন্দু অমাত্যদের হাতে।
পলাশীর পর নব্য শাসক ইংরেজদের অন্যতম প্রধান নীতিই হয়ে দাঁড়ালো প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, রাজস্ব, জমিদারি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতি সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে বেছে বেছে মুসলমানদের উৎখাত করে সেসব স্থানে ইংরেজ-অনুগত হিন্দুদের বসানো। পলাশী বিপর্যয়ের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ১৭৯৩ সালে পূর্বতন ভূমি ব্যবস্থা বদলিয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নামের ভূমি ব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ অনুগত এক নব্য জমিদারগোষ্ঠী সৃষ্টি করা হলো, যার সিংহভাগই ছিল হিন্দু। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে এক সময়ের সচ্ছল মুসলমান সম্প্রদায়কে পরিণত করা হলো অসহায় নিঃস্ব জনগোষ্ঠীতে।
অন্যদিকে মুসলমানরাও কিছুতেই সাতসমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে আসা এই বিদেশি ইংরেজদের শাসনকে মেনে নিতে পারেনি। তারা স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু করে দেন সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম। এসব সংগ্রামের মধ্যে ছিল মজনু শাহের নেতৃত্বাধীন ফকীর আন্দোলন, রংপুরের নুরুল দীন, ত্রিপুরার সমসের গাজী, সন্দ্বীপের আবু তোরাব, লক্ষ্মীপুরের নওয়াব আলী প্রমুখ কৃষক নেতার কৃষক বিদ্রোহ, হাজী শরীয়ত উল্লাহদুদু মিয়ার নেতৃত্বাধীন ফারায়েজী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লাখ্যাত সংগ্রাম, মহিশূর-শার্দূল হায়দার আলী-টিপু সুলতানদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, বালাকোট খ্যাত সৈয়দ আহমদ ব্রেলভীর নেতৃত্বাধীন জেহাদ আন্দোলন এবং সর্বশেষে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ। স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত এসব সশস্ত্র আন্দোলনের প্রত্যেকটাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় উপমহাদেশের বৃহৎ সম্প্রদায় হিন্দুদের অসহযোগিতার কারণে। ১৮৫৭ সালের মে মাসেই বর্ধমানের মহারাজা মাহতার চান্দের উদ্যোগে হিন্দু জমিদার, বুদ্ধিজীবী প্রভৃতির পক্ষ থেকে ইংরেজ সরকারের সমর্থনে হাজার হাজার হিন্দু নেতার স্বাক্ষরযুক্ত স্মারকলিপি সরকার সমীপে পেশ করে ইংরেজদের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ আনুগত্য জ্ঞাপন করা হয়।
এভাবে পলাশী-পরবর্তী একশ বছরের স্বাধীনতা-সংগ্রাম বিশেষ করে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ায় হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সাহিত্য স¤্রাট বঙ্কিম চন্দ্র ‘সংবাদ ভাস্বর’-এ লিখলেন, ‘পাঠক সকল, জয় জয় বলিয়া নৃত্য কর। হিন্দু প্রজাসকল দেবালয়ে সকলের পূজা দাও। আমাদের রাজ্যেশ্বর শত্রুজয়ী হইলেন।’ আর কবি ঈশ্বরচন্দ্র কবিতা লিখলেন : ‘চিরকাল হয় যেন ব্রিটিশের জয়।/ব্রিটিশের রাজলক্ষ্মী স্থির যেন রয়॥/ এমন সুখের রাজ্য আর নাহি হয়।/ শাস্ত্রমতে এই রাজ্য রামরাজ্য কয়॥’
পলাশী-পরবর্তী একশ বছরব্যাপী মুসলমানদের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং বিশেষভাবে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার পর মুসলমানদের ওপর সরকারের নির্যাতনের স্টিমরোলার নতুনভাবে নেমে আসে। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে প্রধানত মুসলমানদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে উত্তর ভারতের স্যার সৈয়দ আহমদ খান, বাংলার নবাব আবদুল লতিফ প্রমুখ তদানীন্তন মুসলিম নেতৃবৃন্দ সাময়িকভাবে হলেও ইংরেজ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে হিন্দুদের মতো মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে প্রয়াস পান।
এই সহযোগিতা যুগের শেষ নেতা নবাব সলিমুল্লাহর আমলে ১৯০৫ সালে প্রধানত প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত বিশাল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করে ঢাকা রাজধানীসহ ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামের একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়। এতে কলকাতা প্রবাসী হিন্দু জমিদাররা পূর্ববঙ্গে অবস্থিত জমিদারিতে তাদের প্রভাব হ্রাসের আশঙ্কায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন সৃষ্টি করে বসেন। পলাশী পরবর্তী যুগে যে হিন্দু নেতৃবৃন্দ সবসময় ইংরেজ সরকারের পক্ষে থেকেছে, তাদের এই আকস্মিক রুদ্রমূর্তিতে সরকার ভড়কে যায়। মাত্র ছয় বছরের মাথায় সরকার কর্তৃক ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করে পুরাতন মিত্রদের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করা হয়।
এদিকে বঙ্গভঙ্গ এবং ঢাকা রাজধানীসহ ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামে নতুন প্রদেশ সৃষ্টির ফলে দীর্ঘঅবহেলিত পূর্ববঙ্গের উন্নয়নের কিঞ্চিত সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় বঙ্গভঙ্গের প্রতি নবাব সলিমুল্লাহ সমর্থন জানিয়েছিলেন। বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণায় তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তাঁর ক্ষোভ প্রশমনের লক্ষ্যে তাঁর অন্যতম দাবি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে ইংরেজ সরকার। এতেও কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের আপত্তি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তাদের যুক্তি (কুযুক্তি!) ছিল বঙ্গভঙ্গের ফলে নাকি বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মতো পাপ হবে। এবার তাদের যুক্তি হলো : ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে বঙ্গীয় সংস্কৃতি দ্বিখ-িত হবে। তবে তাদের আরেকটি বক্তব্যে তাদের আসল মতলব বেরিয়ে পড়ল বড় কদর্যভাবে। তারা বললেন, পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত মুসলমান চাষাভূষা। তাই তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। অর্থাৎ অশিক্ষিত চাষাভূষারা অশিক্ষিত থাক, তাদের শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষা কোনটারই প্রয়োজন নেই।
উপরে আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে দীর্ঘ ইতিহাসকে সংক্ষেপে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি, তাতে দুটি বিষয় বাস্তবতার নিরিখে বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে : একটি বঙ্গভঙ্গ, অপরটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবঙ্গের বিরোধিতা করতে গিয়ে কলকাতা প্রবাসী হিন্দু জমিদাররা বঙ্গভঙ্গকে বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মতো পাপ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। অথচ তাদের উত্তরসূরিরাই কিন্তু ১৯৪৭ সালে বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের জন্য উন্মত্ত হয়ে ওঠেন। তখন তারা বলেন, ভারত ভাগ না হলেও বাংলা ভাগ হতেই হবে। নইলে বাঙালি হিন্দুরা চিরতরে বাঙালি মুসলমানদের গোলাম হয়ে যাবে। অর্থাৎ মুসলমান বাঙালিদের চেয়ে সাতচল্লিশে অবাঙালি হিন্দুদের গোলামী তাদের অধিক প্রিয় হয়ে ওঠে। এর স্বাভাবিক পরিণতিতে এককালের বাঙালি সংস্কৃতির রাজধানী কলকাতায় এখন হিন্দি ভাষার দাপট চলছে পুরাদমে। অন্যদিকে ঢাকায় সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হতে পেরেছিল বলেই কলকাতার ব্যর্থতার পটভূমিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সংগ্রামে ঐতিহাসিক বিজয় লাভের মধ্যে দিয়ে ঢাকা এখন শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানীই নয়, ঢাকা এখন হতে পেরেছে বাংলা ভাষার রাজধানী।
তবে এতেই আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করলে ভুল করা হবে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের আরও বহু অর্জন বাকি রয়েছে। বাংলাদেশের যে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চারটি সংবিধানে গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে তিনটি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষবাদ, সরকারভেদে বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত বা সংশোধিত হলেও একমাত্র গণতন্ত্র নামক মূলনীতিটির গায়ে কোনো সরকারই কখনো হাত দিতে সাহস পায়নি জনমতের ভয়ে। অথচ সেই গণতন্ত্রই স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন, সাবলীলভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ লাভ করছে না। বাংলাদেশ নামের যে স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পেছনে দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ঐতিহাসিক অবদান ছিল, সেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হতে না পারাটা যে কত বড় লজ্জার কথা, তা যদি রাষ্ট্রনেতারা উপলব্ধি করতে না পারেন, তার চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কী হতে পারে।
গণতন্ত্রের প্রধান চাহিদা ও বৈশিষ্ট্য হলো বিরোধী মতামতকে সহ্য ও শ্রদ্ধা করতে শেখা। অন্য কথায় পরমতসহিষ্ণুতাই গণতন্ত্রের প্রাণ। অথচ আমাদের দেশে প্রকৃত সরকার-বিরোধী দল যাতে কিছুতেই ময়দানে সক্রিয় না থাকতে পারে, তার জন্য হামলা-মামলার মাধ্যমে তাদের নিষ্ক্রিয় করে রেখে গৃহপালিত বিরোধী দল দিয়ে সংসদীয় বিরোধী দলের দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে দেশের প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হওয়ার পর দেশের সরকারপ্রধান যদি সংসদে দাঁড়িয়ে এ জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন এ যুক্তি দেখিয়ে যে, এতে করে তাদের সরকার-বিরোধী বক্তব্য শুনতে হচ্ছে না, এর চেয়ে দুঃখের কথা আর কী হতে পারে? এই দু:খজনক পটভূমিতে দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কবে ফিরে আসবে, এখন সেটাই শুধু দেখার বিষয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন